মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডসহ ৩ দাবিতে শিক্ষার্থীর অনশন
Published: 9th, March 2025 GMT
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ তিন দাবিতে চোখে ও হাতে কালো কাপড় বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে তিনি অনশন শুরু করেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম ফাতিন আলমাস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁর বাকি দুই দফা দাবি হলো ধর্ষণের ঘটনায় একমাত্র শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদণ্ড এবং বিচার বিভাগে পৃথক ট্রাইব্যুনাল বা ধর্ষণ নিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে; এই বন্দোবস্তের আওতায় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
জানতে চাইলে ফাতিন আলমাস বলেন, ‘সরকার ধর্ষণের সব ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছে। কিন্তু তারা উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে ধর্ষণের ঘটনা সমাজে নিত্য ঘটনা হয়ে গেছে। আমি এসব ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ১৮ কোটি মানুষের একটা পরিবার হয়, মাগুরার সেই শিশুটি সে পরিবারেরই একজন সদস্য। একটা পরিবারের কোনো সদস্য অসুস্থ হলে যেমন অন্য সদস্যের বসে থাকা সম্ভব নয়, একইভাবে ওই শিশুর বিষয়টি আমি চিন্তা করে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিচার হওয়ার আগপর্যন্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে আমার লড়াই চলবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।
স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।
অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।