হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় এসএম স্পিনিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। রবিবার (৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কড্ডা এলাকায় অবস্থিত কারখানায় আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুনের লেলিহান শিখা গুদামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে গুদামে রক্ষিত প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন তুলা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

খবর পেয়ে মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগে বিপুল পরিমাণ তুলা পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এসএম স্পিনিং মিলে দায়িত্বরত জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যার দিকে গুদামের ভেতর হঠাৎ কালো ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখতে পান শ্রমিকরা। তৎক্ষণাৎ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও মুহূর্তে তা পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুড়ে গেছে গুদামে রাখা প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন তুলা। ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন:

দুই ঘণ্টার আগুনে নিঃস্ব চট্টগ্রামের শতাধিক ব্যবসায়ী

চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল এলাকায় আড়ত ও গুদামে আগুন

মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো.

রাকিব উদ্দিন ভূইয়া জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে বিস্তারিত তদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। 

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আশপাশের স্থাপনাগুলো রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
 

ঢাকা/আজহারুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন ম ধবপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ