ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ এর। ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদের কোনো ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নিতে পারেননি। বরং এক ম্যাচ কম খেলেও রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছেন রানার্স-আপ হওয়া নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র। তবে তার চেয়ে ২০ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ভারতের শ্রেয়াস আয়ার। এছাড়া বিরাট কোহলি আছেন সেরা পাঁচে।

৫.

বিরাট কোহলি (ভারত):
ভারতের টপ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান মোট পাঁচ ম্যাচ খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ১ হাফ সেঞ্চুরিতে মোট ২১৮ রান করেছেন। গড় ছিল ৫৪.৫০। স্ট্রাইক রেট ৮২.৮৮।

৪. জো রুট (ইংল্যান্ড):
ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই রান করেছেন ২২৫টি। একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি হাফ সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। আর এই রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন রুট। তার গড় ছিল ৭৫.০০। আর স্ট্রাইক রেট ৯৬.৫৬।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেল ভারত? নিউ জিল্যান্ড পেল কতো?

অবসর ভেঙে ফিরেই ২৮ বলে ১৫ ছক্কায় ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি

৩. বেন ডাকেট (ইংল্যান্ড):
ইংল্যান্ডের বেন ডাকেটও জায়গা করে নিয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায়। তিন ম্যাচ খেলে এক সেঞ্চুরিতে তিনি করেছেন ২২৭ রান। গড় ৭৫.৬৬ আর স্ট্রাইক রেট ১০৮.৬১।

২. শ্রেয়াস আয়ার (ভারত):
ভারতের শ্রেয়াস আয়ার আছেন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। ৫ ম্যাচ খেলে ২টি হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি রান করেছেন ২৪৩টি। গড় ৪৮.৬০ আর স্ট্রাইক রেট ৭৯.৪১।

১. রাচিন রবীন্দ্র:
নিউ জিল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু পরের চার ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে করেছেন সর্বোচ্চ ২৬৩ রান। আর এই রান নিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তিনি অবস্থান নিয়েছেন শীর্ষে। তার গড় ছিল ৬৫.৭৫। স্ট্রাইক রেট ১০৬.৪৭।

রাচিন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন স গ রহক র দ র ত ল ক য় ব য টসম য ন কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ