পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আল আমিন (৩৮) নিহতের প্রতিবাদে জানিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবি। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শিলিগুড়ি সেক্টর কমান্ডার শ্রী পি কে শিং।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন কর্নেল গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফ সীমান্ডে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যা অপ্রত্যাশিত এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বৈঠকে বিএসএফ-কে হত্যার জন্য কঠোরভাবে প্রতিবাদ, নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়েছে।’’ 

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার স্বর্ণের বার জব্দ 

৩ বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ, বিজিবির চেষ্টায় ফেরত

কর্নেল গোলাম রব্বানী বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে বিএসএফ তাদের বক্তব্যে জানিয়েছে, ১০-১৫ জনের একটি দল রাতের অন্ধকারে বিএসএফ জোয়ানকে আক্রমণ করলে তাদের জোয়ান আত্মরক্ষার্থে ফায়ার করে, যা অনাকাঙ্খিত এবং এই জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে বিএসএফ সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে আশ্বস্ত করেছে।’’ 

বিজিবির এই সেক্টর কমান্ডার আরো বলেন, ‘‘আমরা বিএসএফকে স্পষ্ট করে বলেছি, বিনাবিচারে বাংলাদেশি কাউকে গুলি করে হত্যা করা নির্দয়, অমানবিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের পরিবর্তে অপ্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা যেত, তাকে পাকড়াও করা যেত এবং আইনের আওতায় সোপর্দ করা যেত। প্রয়োজনে বিজিবিকে অবহিত করা যেত, এতে বিজিবি তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে পারতো।’’ 

গত শনিবার (৮ মার্চ) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নে ভিতরগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিপরীতে ভারতের অভ্যন্তরে ভাটপাড়ায় বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়। নিহত আল আমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাত পাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে।

ঢাকা/নাঈম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ র উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা