সাজেক যাওয়ার পথে ৮ পর্যটককে অপহরণের ঘটনায় নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
Published: 10th, March 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে পর্যটক অপহরণের ঘটনায় এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে দীঘিনালা উপজেলার চিটিং টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুরের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান ৮ বন্ধু মিলে সাজেক ঘোরার জন্য ২ মার্চ খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তাঁরা যাত্রা করেন খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের পথে। সকাল সাড়ে ১০টায় দীঘিনালার ৯ মাইল এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারী মো.
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, পর্যটকদের সারা রাত আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় বেলাল ও আজিজুর। অভিযুক্তরা অপহরণের শিকার পর্যটকদের কাছ থেকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে এই টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে রোববার রাতে দীঘিনালার চিটিং টিলায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে মো. বেলাল, আজিবুর রহমান, মো. সহিদুল, সুফিয়া বেগমকে চিটিং টিলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের শিকার মো. খলিলুর রহমান দীঘিনালা থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার চারজন অপহরণের দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৩ জন পেহেলগামের হামলাকারী: পার্লামেন্টে অমিত শাহ
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত তিন বন্দুকধারী ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার অভিযানটি চালানো হয়।
আজ মঙ্গলবার ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় দেওয়া বক্তব্যে অমিত শাহ এসব কথা বলেন।
তিন মাসেরও বেশি আগে গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামের বৈসরানে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীরা হামলা চালান। ওই ঘটনায় ২৬ জন নিহত হন।
অমিত শাহ বলেন, ‘আমি পার্লামেন্টে জানাতে চাই, বৈসরানে যে তিন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিলেন, তাঁদের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে।’ তাঁর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সদস্য। জাতিসংঘ এটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘হামলায় তাঁদের জড়িত থাকার ব্যাপারে আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে বিস্তারিত প্রমাণ আছে।’
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীরের দাচিগাম এলাকার পাহাড়ে গতকাল ওই অভিযান চালানো হয়েছে। শ্রীনগর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে দাচিগামের অবস্থান।
এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে থাকা বন্দুকধারীরা হঠাৎ বেরিয়ে এসে পর্যটকদের ওপর গুলি চালান। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই ভারতীয়। একজন নেপালি ছিলেন।
আরও পড়ুনকাশ্মীরে পর্যটকদের গুলি করার আগে কী হয়েছিল, জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা২৫ এপ্রিল ২০২৫ভারতের অভিযোগ, এ হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ আছে। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করেছে। পেহেলগামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মে মাসে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে চার দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে। উভয় দেশ পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে তারা দুটি যুদ্ধসহ বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
আরও পড়ুনপেহেলগামে হামলায় জড়িত সবাইকে এবার পাকিস্তানি নাগরিক বলে দাবি ভারতের২৪ জুন ২০২৫