গুলিবিদ্ধ মদনটাক পাখি উদ্ধার করে জবাই, মাংস ভাগাভাগির অভিযোগ
Published: 10th, March 2025 GMT
বরগুনা সদর উপজেলায় গুলিবিদ্ধ একটি মদনটাক উদ্ধার করা হয়। পরে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী আরিফুর রহমান বলেন, মদনটাক পাখিটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য গিয়ে প্রাণ হারাল গ্রামবাসীর হাতে। সবার সামনে একটি মদনটাক জবাই করে উল্লাস করা হলো। একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এই জঘন্য কাজ সংঘটিত হলো। পাশেই বিষখালী নদীর মাঝের চরে অনেক পাতা বন আছে। পাখিগুলো নিরাপদ জায়গা খোঁজে। পাখিটি গুলিবিদ্ধ মানেই এটা প্রমাণ করে যে পেশাদার পাখি শিকারি এখনো পাখি শিকার করছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে তেঁতুলবাড়িয়া নদীর পাড়ে একটি ফসলি মাঠের পাশে খেলছিল ৭ থেকে ১০ বছরের কয়েকজন শিশু। এ সময় ডানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি মদনটাক পাখি নদীর পাড়ে এসে পড়ে। শিশুরা বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়াকে জানান। পরে আব্বাস বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মনির খলিফাকে সঙ্গে নিয়ে পাখিটি উদ্ধার করেন। সেখানে এলাকার লোকজন জড়ো হলে পাখিটি জবাই করে তাঁরা মাংস ভাগাভাগি করে নেন।
পাখি জবাই করে মাংস ভাগাভাগির বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এলাকায় একটি বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি আহত অবস্থায় ধরা হয়েছে। আমি তখন বরগুনা শহরে অবস্থান করছিলাম। খবর শোনার পর আমি দ্রুত এলাকায় চলে যাই। আমার যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন পাখিটিকে জবাই করে। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ঠিক না।’
বরগুনা সদর উপজেলার বিট কর্মকর্তা জালাল আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পাখিটি জবাই করে মাংস ভাগ করে নিয়েছে এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আলামত জব্দের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।