ঢাকায় যাত্রাবাড়িতে হামলায় মামলা, ৩৫৭ আসামির ১৬০ জনই হবিগঞ্জের
Published: 11th, March 2025 GMT
ঢাকায় যাত্রাবাড়ি থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হামলার অভিযোগে হবিগঞ্জের সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ৩৫৭ জনের নাম উল্লেখ ও ২ থেকে ৩ হাজার অজ্ঞাত লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার এজাহারে নাম উল্লেখ করা ৩৫৭ আসামির মধ্যে ১৬০ জনই হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
সোমবার (১০ মার্চ) টাঙ্গাইল জেলার চরাঞ্চল উপজেলার চরশুশুয়া গ্রামের মো.
এতে প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আসামিদের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
হবিগঞ্জের আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এবং এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু, হবিগঞ্জের বাসিন্দা পুলিশের সাবেক ডিআইজি কৃষ্ণপদ রায়, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, তাজ উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ খালেদুর রহমান, মাহবুব রহমান চৌধুরী রুমান, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কামরুজ্জামান বশির, মুদ্দত আলী, নলিউর রহমান তালুকদার, হাফেজ শামরুল ইসলাম, খোকন চন্দ্র গোপ, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শামীম প্রমুখ।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?