গাজায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের প্রভাব কী হতে পারে
Published: 11th, March 2025 GMT
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এতে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এটিকে জানুয়ারিতে সম্মত যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো সংশোধনে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে চাপ দিতে ইসরায়েলের আরেকটি চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে এবং আরও বন্দীকে মুক্তি দিতে হামাসকে চাপ দিতে মার্চ মাসের শুরুর দিকে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি এড়াতে তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি হলে গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী অবসান হতে পারে।
মানবিক সহায়তা সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা, ইসরায়েলের কিছু মিত্রদেশসহ বিভিন্ন দেশ এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনত্রাণের পর এবার গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করছে ইসরায়েল১০ মার্চ ২০২৫ইসরায়েলের ঘোষণাটি আসলে কী ছিল
ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজায় যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে, তার পুরোটাই বন্ধ করে দেবে।
গত রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইসরায়েলি জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, তিনি ‘তাৎক্ষণিকভাবে গাজা উপত্যকার বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন’।
দোহায় আরেকটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার আগের দিন কোহেন বলেছিলেন, ‘কথা তো যথেষ্ট হলো, এখন পদক্ষেপ নেওয়ার সময়!’
তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, ঘোষণাটিকে যতটা নাটকীয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটি সম্ভবত অতটা নয়।
যুদ্ধে গাজার বেশির ভাগ এলাকাই এমন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ য ৎ সরবর হ ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে, নিম্নমুখী চালের দাম
ঈদের বন্ধের আমেজ কাটতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা বাজারগুলো। ক্রেতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলোতে বেড়েছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। পেঁয়াজ, রসুন ও চালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও নিম্নমুখী।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর নগরের কাঁচাবাজারে সবজির সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম ছিল কিছুটা বাড়তি। গত রোববার ও সোমবারের দিকে নগরের আড়তগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে। অধিকাংশ সবজির দামও ৪০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে গত মঙ্গলবার থেকে আবারও বাজারে পুরোদমে সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
আজ শুক্রবার নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে। বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ১০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় দ্বিগুণ দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা যায়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, সাব এরিয়া ও কাজির দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি। লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও ফুলকপির দাম কিছুটা কম। এসব সবজির দাম ৫০ টাকার আশপাশে। খুচরা বাজারগুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পরিবহন খরচ ও আগে কেনার অজুহাতে বাড়তি দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম কম। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীদের কারণে ভোক্তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আড়তের দামের দ্বিগুণ দামে তাঁরা সবজি বিক্রি করছেন।
সবজির বাজারের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দামও নিম্নমুখী। খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে আজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫২ টাকা দরে। খুচরা পর্যায়ে দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি। অন্যদিকে রসুনের কেজি আড়তে ছিল ৮৫ থেকে ১১০ টাকা। খুচরায় সেটি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা।
পাহাড়তলী চালের আড়তে মোটা চাল (গুটি, স্বর্ণা) কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে জিরাশাইল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে চালের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট আছে। চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই এখন।