আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ হয়েছে দুই দিন আগে; কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলায় বিশাল সুবিধা পেয়েছে ভারত—টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকেই এমন দাবি জানিয়ে এসেছেন কেউ কেউ।

ভারতীয় দল সব ম্যাচ এক ভেন্যুতে খেলায় কোনো রকম ভ্রমণঝক্কি পোহাতে হয়নি। সেখানকার কন্ডিশন ও পিচ সম্পর্কেও তারা স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগকারীর তালিকায় আছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তিন ক্রিকেটার ডেভিড লয়েড, মাইকেল আথারটন ও নাসের হুসেইন এবং অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

শেষ পর্যন্ত ভারতই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দুবাইয়ে গত রোববারের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ ও সেমিফাইনালেও প্রতিপক্ষরা ভারতীয়দের খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।  

কিন্তু দুই কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার ও ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, ভারতের এই দল এতটাই শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ যে দুবাইয়ের বাইরে খেললেও তারাই চ্যাম্পিয়ন হতো।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলেছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ