হারজিত ছাপিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সেই ম্যাচটা অনেক দিন মনে থাকবে অসাধারণ তিনটি গোলের জন্য। এর মধ্যে রদ্রিগো আর হুলিয়ান আলভারেজের করা গোল দুটি তো যেন ছিল শিল্পীর তুলিতে আঁকা।

তবে ফুটবল ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ফলটাই মুখ্য এবং গত সপ্তাহে সেই মাদ্রিদ ডার্বির ফল নির্ধারিত হয়েছিল ব্রাহিম দিয়াজের দুর্দান্ত এক গোলে। ২-১ ব্যবধানে ম্যাচটা জিতে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ খেলবে আতলেতিকোর মাঠে।

খেলাটা প্রতিপক্ষের মাঠে বলেই রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানেন, মাত্র ১ গোলে এগিয়ে থাকাটা সেখানে বড় কোনো সুবিধা নয়। যে কারণে প্রথম লেগ শেষেই তিনি বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচ এখনো সমতায়। মনে রাখতে হবে দলটা আতলেতিকো, ওদের বিপক্ষে ১ গোলে এগিয়ে থাকায় আপনি খেলা শেষ ধরে নিতে পারেন না।’

চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে আতলেতিকোর পরিসংখ্যান—৩ ম্যাচ, ২ জয়, ১ ড্র। এটা জানা আছে বলেই বোধ হয় গত সপ্তাহে বার্নাব্যুতে রিয়ালের জয়ের নায়ক ব্রাহিম দিয়াজও বলেছেন, ‘কোনোভাবেই এই লড়াই শেষ হয়ে যায়নি।’

১ গোলে পিছিয়ে থাকাটাকে খুব বড় কিছু মনে করছেন না আতলেতিকোর কোচ ডিয়েগো সিমিওনেও। বরং নিজেদের মেত্রোপলিতানোতে খেলতে নামলেই অন্তত মানসিকভাবে এই ব্যবধান ঘুচে যাবে বলে মনে করেন সিমিওনে, ‘সমর্থকেরা সব সময় একটা বাড়তি শক্তি দেয় আমাদের।’ আর আতলেতিকো মিডফিল্ডার মার্কোস ইওরেন্তে তো একরকম হুমকিই দিয়ে রাখলেন প্রতিপক্ষকে, ‘নিজেদের মাঠে, আমাদের সমর্থকদের সামনে অন্তত ৯০ মিনিট খেলব আমরা। সেই অপেক্ষাতেই আছি।’

একই রাতে হতে যাওয়া লিল-ডর্টমুন্ড ম্যাচ অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই সমতায়। ডর্টমুন্ডের মাঠে গত সপ্তাহে ১-১ ড্র করেছিল লিল। অন্যদিকে ব্রুগার মাঠ থেকে ৩-১ গোলে জিতে আসা অ্যাস্টন ভিলা আজ নিজেদের মাঠে খেলবে বেশ নির্ভার থেকে।

তবে সবচেয়ে নির্ভার আসলে আর্সেনাল। পিএসভির মাঠ থেকে ৭-১ গোলে জিতে আসা মিকেল আরতেতার দল আজ নিজের মাঠে স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকলেই হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে কখনো দুই গোলের বেশি ব্যবধান ঘুচিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি কোনো দল, পিএসভিকে আজ ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলেও অন্তত ছয় গোল করতে হবে!

এমন কখনো হয়নি, আজও হবে না, এটা নিশ্চিন্তে বলে দেওয়া যায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আতল ত ক র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ