বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির তারকা’ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা টিকারাম জুলি। তার এ মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় বইছে।

গতকাল রাজস্থানের বিধানসভায় এক আলোচনার সময়ে জুলি বক্তব্য দেন। মূলত, কয়েক দিন আগে রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হয় আইফা অ্যাওয়ার্ড। ফলে রাজ্য সরকারের ব্যয় নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। জুলি বলেন, “আইফার নামে ১০০ কোটি রুপির বেশি জনসাধারণের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এটি কেবল আইফার প্রচারণা ছিল, রাজস্থানের নয়।”

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জুলি বলেন, “আইফা অ্যাওয়ার্ড থেকে কী পেয়েছে রাজস্থান? এখানে যেসব তারকারা এসেছিলেন, তাদের কেউই রাজ্যের কোনো পর্যটন এলাকা ভ্রমণ করেননি।”

আরো পড়ুন:

গৌরির সঙ্গে প্রেম, স্বীকার করলেন আমির

গুরুতর আহত ভাগ্যশ্রী

আইফা অ্যাওয়ার্ডে যোগদানকারী তারকাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন জুলি। এই কংগ্রেস নেতা বলেন, “ইন্ডাস্ট্রির কোন বড় তারকা এসেছিলেন? শাহরুখ খান ছাড়া বাকি সবাই দ্বিতীয়-শ্রেণির তারকা। অন্য কোনো প্রথম-শ্রেণির অভিনেতা আসেননি।”

জুলির বক্তব্য নিয়ে কিছু সদস্য আপত্তি জানান। তারপরও জুলি বলেন, “এখন, মাধুরী দীক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণির একজন তারকা। তার সেরা সময় চলে গেছে। ‘বেটা’, ‘দিল’ সিনেমা যখন করেছে, তখন সে তারকা ছিল।”

তথ্যসূত্র: দি ইকোনোমিক টাইমস

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরা শুরু, চাঁদপুরের মাছঘাটে কর্মব্যস্ততা

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদীর অভয়াশ্রমে দুই মাস পর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের আদেশে জাটকা রক্ষা ও অন্যান্য মাছ বৃদ্ধিতে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০ দিন শিকার বন্ধের পর বুধবার মধ্যরাত থেকেই জেলেরা নদীতে শিকারে নেমেছে। কর্মব্যস্ততা ফিরেছে চাঁদপুরের মাছঘাটে। তবে প্রথম দিনে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলেরা।

মাছ আহরণ কম হওয়ায় প্রথম দিনে আড়তে তেমন ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১০ মণ ইলিশও আসেনি মাছের বড় ঘাট বড় স্টেশনে। তাছাড়া বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, সন্দ্বীপসহ দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছেনি চাঁদপুর মাছ ঘাটে। নদী তীরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইলিশের কার্গো ও নৌকাও আসেনি। ইলিশের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়তদাররা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইলিশের পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন পর বেচাকেনা কিছুটা শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে।

পুরান বাজারের হরিসভা অঞ্চলের জেলে বাবুল, সেলিম, মনির হোসেন বলেন, ভোরে মাছ ধরতে নেমেছি। নদীতে তেমন মাছ নাই। ইলিশ না পেলেও পোয়া, পাঙাশ, চিংড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মাছ বিক্রির জন্য বড়স্টেশন মাছঘাটে এসেছি। তবে এই মাছে তেলের টাকাও উঠছে না।

ব্যবসায়ীরা জানান, আজকের আড়তে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজারে। এক কেজির কম ওজনের ২ হাজার ৫০০ টাকায়। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।

এদিকে শহরের সবচেয়ে বড় বাজার পালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানের খুচরা ব্যবসায়ীরা আড়ত থেকে ইলিশই আনেননি। ‘কারণ’ হিসাবে কিরন নামে একজন ব্যবসায়ী বললেন, ‘তিন হাজার টাকার কেজিতে ইলিশ কে কিনবো বলেন? কয়জনে কিনবো? আমরা বেঁচমো কতো?’ 
 
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, এখন নদীতে পানি কম। স্রোত ও বৃষ্টিও কম। ফলে এ সময়ে ইলিশ কম পাওয়া যায়।

চাঁদপুরের ইলিশ ক্রেতা মোহন মাছঘাটে এসেছেন ইলিশ কিনতে। দাম শুনেই ফিরে গেলেন। তিনি সমকালকে বললেন, ‘আমাদের চাঁদপুরের মানুষের ইলিশ খাওয়া বড় কঠিন হয়ে পড়ছে। আজকেও যেমন আবার ভরা মৌসুমেও দেখবো দাম আর কমবে না!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ