‘মাধুরী দীক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণির তারকা’
Published: 14th, March 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতকে ‘দ্বিতীয় শ্রেণির তারকা’ বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা টিকারাম জুলি। তার এ মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় বইছে।  
গতকাল রাজস্থানের বিধানসভায় এক আলোচনার সময়ে জুলি বক্তব্য দেন। মূলত, কয়েক দিন আগে রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হয় আইফা অ্যাওয়ার্ড। ফলে রাজ্য সরকারের ব্যয় নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি। জুলি বলেন, “আইফার নামে ১০০ কোটি রুপির বেশি জনসাধারণের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। আপনি যদি বিজ্ঞাপন দেখে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন এটি কেবল আইফার প্রচারণা ছিল, রাজস্থানের নয়।”
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জুলি বলেন, “আইফা অ্যাওয়ার্ড থেকে কী পেয়েছে রাজস্থান? এখানে যেসব তারকারা এসেছিলেন, তাদের কেউই রাজ্যের কোনো পর্যটন এলাকা ভ্রমণ করেননি।”
আরো পড়ুন:
গৌরির সঙ্গে প্রেম, স্বীকার করলেন আমির
গুরুতর আহত ভাগ্যশ্রী
আইফা অ্যাওয়ার্ডে যোগদানকারী তারকাদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন জুলি। এই কংগ্রেস নেতা বলেন, “ইন্ডাস্ট্রির কোন বড় তারকা এসেছিলেন? শাহরুখ খান ছাড়া বাকি সবাই দ্বিতীয়-শ্রেণির তারকা। অন্য কোনো প্রথম-শ্রেণির অভিনেতা আসেননি।”
জুলির বক্তব্য নিয়ে কিছু সদস্য আপত্তি জানান। তারপরও জুলি বলেন, “এখন, মাধুরী দীক্ষিত দ্বিতীয় শ্রেণির একজন তারকা। তার সেরা সময় চলে গেছে। ‘বেটা’, ‘দিল’ সিনেমা যখন করেছে, তখন সে তারকা ছিল।”
তথ্যসূত্র: দি ইকোনোমিক টাইমস
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন