চাঁদাবাজ দখলবাজদের বিএনপিতে জায়গা হবে না বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য দু-একজন যে অপকর্ম করছে, এদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দিতে হবে।

বিএনপি এই নেতা আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন–সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম, চাঁদাবাজ দখলবাজদের জন্য আমরা বিতর্কিত হতে পারব না। জনগণের বিরাগভাজন হতে পারব না।’

আজ রোববার বিকেলে বংশালের নর্থ সাউথ রোডের সুরিটোলা স্কুলমাঠে থানা বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ‘৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ও জনসম্পৃক্তি’ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ইশরাক বলেন, ‘বিগত দিনে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপির একটি সুনাম অর্জিত হয়েছে, জনগণের সহমর্মিতা সমর্থন আমাদের ওপর তৈরি হয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হবে, সেটা অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার রেখে যাওয়া মিডিয়ার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৫ আগস্টের পর এরা গর্তের মধ্যে ঢুকে ছিল, এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এখন আমরা দেখতে পারছি সুপরিকল্পিতভাবে, সংঘবদ্ধভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, ভবিষ্যতে বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের মন জয় ও ভোট নিশ্চিত করতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।

নিজেদের সমালোচনা করে উপস্থিত নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের যেভাবে আচার-আচরণ হওয়া উচিত ছিল, সেটা কি শতভাগ করতে পেরেছি? আমাদের মধ্যে কি দোষ-ত্রুটি, ত্রুটি-বিচ্যুতি হয় নাই? আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কি অপকর্ম লিপ্ত হয় নাই? অবশ্যই হয়েছে। একটা–দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে, অপকর্ম সব দলের লোকজনই করছে, সবাই করছে। বিএনপি বড় দল, এখন আমাদের একটু সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। যেহেতু আমাদের সামনে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নাই। জনগণের মন জয় করে আমাদের রাজনীতি করতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে সদস্যসচিব তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহীর সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, রফিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোহন প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র জনগণ র আম দ র ইশর ক

এছাড়াও পড়ুন:

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন ইশরাক হোসেন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঈদের বিরতির পর ফের অবস্থান নিয়েছেন সংস্থাটির কর্মচারীরা। এর সঙ্গে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগরভবনে একত্রিত হয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক হোসেন।

আজ রোববার সকাল থেকে ইশরাকের অনুসারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনে একত্রিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও। সকাল ১১ টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন এবং আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি।

ইশরাক হোসেন বলেন, সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করেন। তাহলে অচল অবস্থা কেটে যাবে। এই সমস্যা সুরাহা না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সংবিধান লংঘন করেছেন। আন্দোলন চলমান থাকবে। এখান থেকে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। এই লড়াই থেকে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানাবো, তিনি যেন বিষয়টি সরাসরি নিজে তত্ত্বাবধান করেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাস করি। এখন আমাদের আন্দোলন যেভাবে চলছে কোনো অবস্থাতেই আমরা এখান থেকে ফিরে যেতে পারি না। আদালতের রায় জনগণের রায়কে আপনারা মেনে নিন। 

ইশরাক বলেন, আমরা যদি এখান থেকে পেছনের দিকে চলে যাই, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। সরকারকে আহ্বান জানাবো, আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা নিষ্পত্তি করেন। নইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই সংকটে চলবেই। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব দৈনন্দিন কার্যক্রম চলবে, জনগণের জন্য ভোগান্তি না হয়। এগুলো আমাদের তত্ত্বাবধানে চলমান থাকবে।

এদিকে তারা ‘শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘মেয়র নিয়ে তালবাহানা, সহ্য করা হবে না’, ‘চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে’, ‘নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’- এমন নানা স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের স্লোগানে উত্তাল ছিল পুরো নগরভবন। তাদের আন্দোলনের ফলে বিরতির আগে ১৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত নগর ভবন থেকে দেওয়া সব নাগরিক সেবা বন্ধ ছিল। ঈদের ছুটির পর আজ থেকে ফের তারা আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাকে যেন শপথ পড়ানো না হয়; সেজন্য গত ১৪ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলন নামেন ইশরাক সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে ডিএসসিসি নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এরপর এ রিট মামলার ওপর কয়েক দফা শুনানির পর তা খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বেঞ্চ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইরানের শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান সাবেক শাহের পুত্রের
  • আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ইশরাক হোসেন
  • আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন ইশরাক হোসেন
  • অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন
  • ছাত্রদল নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি
  • বাজেটের ত্রুটি সংশোধনের আহ্বান
  • ড. ইউনূসকে দেশের কাজে যুক্ত রাখতে চায় বিএনপি
  • বিএনপির কর্মীকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ
  • জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
  • সহসাই রাজনীতির কালো মেঘ কেটে যাবে: ডা. জাহিদ