ফজলে করিমের দুই ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 16th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর দুই ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী ও ফারহান করিম চৌধুরীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ লুটপাট, দরপত্র নিয়ে বাণিজ্য, শিপ ব্রেকিং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ফজলে করিম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। এ অবস্থায় তাঁর দুই ছেলে দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে দুদক।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার হোসেন আরও বলেন, রিজোয়ানা ইউসুফের সঙ্গে ফজলে করিমের ২০০২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এই কারণে শুধু দুই ছেলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ফজলে করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ম চ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল