‘জ্বীন ৩’ ছবির প্রথম গানে উৎসবের আমেজে নুসরাত-সজল
Published: 17th, March 2025 GMT
ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমাগুলোর প্রচারণায় সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমা তাদের গান ও টিজার প্রকাশ করেছে। ব্যতিক্রম ছিল শুধু ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার বেলায়। আজ তারা এই সিনেমার ‘কন্যা’ গান প্রকাশ করেন।
এ গানে রঙিন হয়ে ধরা দিয়েছেন নুসরাত ফারিয়া ও আব্দুন নূর সজল। নুসরাত ফারিয়া অঙ্গে জড়িয়েছেন সিঁদুর লাল শাড়ি। অন্যদিকে আব্দুন নূর সজল গায়ে চাপিয়েছেন সাদা পাঞ্জাবি ও চুন্দ্রি ওড়না। সঙ্গে রং-বেরঙের মুখোশ। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ স্পষ্ট।
‘কন্যা’ গানটির কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন। কণ্ঠ দিয়েছেন জাতীয় ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা। কণ্ঠের পাশাপাশি ‘কন্যা’র সুর-সংগীতও ইমরানের। ছবির প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়া জানিয়েছে আগামী ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় প্রকাশ পাবে গানটি।
‘জ্বীন’ সিনেমার প্রথম কিস্তিতে দেখা গেলেও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছিলেন না সজল। এবার তিনি যুক্ত হলেন তৃতীয় কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে প্রশংসিত হয়েছিলেন এই অভিনেতা। তিনি জানান, এবার ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার চরিত্রটি নিয়ে আরও সচেতন তিনি। এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রি-প্রোডাকশনে সময় দিয়েছেন। নিয়মিত অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন। নিজেকে পুরো ফিট করেই শুটিং করেছেন।
সজল বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে “জ্বীন” সিনেমা। সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছি সিনেমাটি থেকে। সিনেমাটি ভালো ব্যবসাও করেছিল। “জ্বীন ৩” নিয়ে যুদ্ধ হবে আমার নিজের সঙ্গেই; নিজেকে কতটা ছাড়িয়ে যেতে পারব, সেই চাপ টের পাচ্ছি। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ, আমি আরও ভালো করতে চাই।’
‘জ্বীন’ সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ‘জ্বীন ৩’। ২০২৩ সালে মুক্তি পায় এর প্রথম কিস্তি ‘জ্বীন’। গেল বছর প্রেক্ষাগৃহে আসে ছবির দ্বিতীয় অধ্যায় ‘মোনা: জ্বীন-২’। এবার রোজার ঈদে আসছে ‘জ্বীন ৩’। এই ছবির ওটিটি পার্টনার আইস্ক্রিন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সজল ঈদ র স ন ম প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু
কানাডায় ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি বলেছে, এবার লিবারেল সরকার হতে চলেছে।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে মার্ক কার্নিই যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সব সময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।—পিয়েরে পলিয়েভর, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতাপুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে গতকাল সোমবার ভোট দিয়েছেন কানাডার জনগণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা দেশটিতে নির্বাচনের আগে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকি কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।
লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুরু হওয়ার আগে জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল কার্নির লিবারেল দল। ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করলে কানাডীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে এবং জরিপের পূর্বাভাসে হঠাৎ বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ভোটের দিন সকালেও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম কাঙ্ক্ষিত অঙ্গরাজ্য হয়, তবে শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।
লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উল্লাস