মায়ের চিকিৎসা ব্যয়ের টাকা জোগাড় করতে না পেরে মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের র‌্যাইল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, নিহত আনোয়ারের মা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে ভুগছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত কিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। 

প্রতিবেশীরা জানান, আনোয়ার হোসেনের মাতা সেতেরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্ট রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার মায়ের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা প্রয়োজন। মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পারায় মানসিক যন্ত্রণা ও হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

সাটুরিয়া থানার ওসি মো.

শাহিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তি তার মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় ও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার আয়ের টাকা দিয়ে মায়ের ওষুধ ও সংসার চালাতে পারছিলেন না। সেই হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ