করজাল বাড়াতে সরেজমিন মূল্যায়ন শুরু এনবিআরের
Published: 19th, March 2025 GMT
কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ করে করদাতার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে করজাল বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সারাদেশে নতুনভাবে স্পট অ্যাসেসমেন্ট বা সরেজমিন মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। যেসব করদাতার করযোগ্য আয় এবং রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে অথচ আয়কর রিটার্ন দাখিল করছেন না, তাদের ব্যবসাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরাসরি সেবা দিয়ে সহজে রিটার্ন গ্রহণ করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এনবিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই কার্যক্রম নতুন করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আয়কর দিতে উৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল স্পট অ্যাসেসমেন্ট শুরু করেছে– যা ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে কর সচেতনতা বাড়ানো এবং কর প্রদানের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এনবিআর জানিয়েছে, কর অঞ্চলগুলো দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে স্পট অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা নতুন করে শুরু করেছে। কর কমিশনাররা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে এ কার্যক্রম তদারকি করছেন এবং নির্ধারিত স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং সাধারণ করদাতাদের সরাসরি অনলাইনে রিটার্ন পূরণে সহায়তা দিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। করদাতারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে আয়কর সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের সুযোগ পাচ্ছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন
আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে শাহরিন ইসলাম। এই মামলায় ১৭ বছর আগে তাঁর জেল-জরিমানা হয়।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ আজ মঙ্গলবার সকালে শাহরিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন, জামিনের আবেদন জানান।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহরিন ইসলামের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন ও শেখ সাকিল আহমেদ রিপন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, শাহরিন ইসলাম অসুস্থ। তিনি নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৭ বছর আগে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, ৮১ লাখ টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে শাহরিন ইসলামকে আট বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে ৯২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জামিনের আবেদনে শাহরিন ইসলাম উল্লেখ করেছেন, তিনি ১৯৯৮-১৯৯৯ কর বছর থেকে ২০০৬-২০০৭ কর বছর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। তিনি সেখানে তাঁর সব সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেছেন। বিচারিক আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাননি।