জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় এক হোটেল কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের আরামনগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই ব্যক্তির নাম রাসেল মিয়া (৩৫)। তিনি আরামনগর বাজারের চা–বিক্রেতা অহিদুল ইসলামের ছেলে ও একই বাজারের হোটেল কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার দুপুরে রাসেলকে কয়েকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর রাতে আর তিনি বাড়ি ফিরে যাননি। আজ সকালে আরামনগর বাজারের একটি হোটেল হাত–পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাসেল তাঁর বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে জুয়াখেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। এতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। জুয়াখেলার পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগে পাওনাদারদের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, হাত–পা বাঁধা ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি 

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির

ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”

তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর