প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। আজ এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে বাহরাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি।
২০২৬ সালের জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় যৌথভাবে আয়োজিত হবে ফিফা বিশ্বকাপ। তিন স্বাগতিকের বাইরে জাপানই প্রথম দল, যারা এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে সেই বিশ্বকাপে। স্বাগিতক তিন দলের অবশ্য বাছাইপর্ব খেলতে হয়নি, জাপান ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে বাছাইপর্বের বৈতরণি পেরিয়ে।
২০২৬ বিশ্বকাপের ৪৮ দলের মধ্যে এশিয়া থেকে বাছাইপর্ব থেকে সরাসরি জায়গা পাবে ৮টি দল। একটি দল পাবে মহাদেশীয় প্লে-অফ জিতে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডে তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে ১৮টি দল। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।
তিন গ্রুপের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দলগুলো খেলবে বাছাইপর্বের পরের রাউন্ডে। চতুর্থ রাউন্ডে ছয়টি দল খেলবে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে। দুই গ্রুপের সেরা দুটি দল জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। দুই রানার্সআপ দল নিজেদের মধ্যে প্লে-অফ খেলবে। যে দল জিতবে, তারা খেলবে মহাদেশীয় প্লে-অফে।
‘সি’ গ্রুপের ছয় দলের মধ্যে প্রথম ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই নিজেদের কাজটা এগিয়ে রেখেছিল জাপান। আজ জাপানের সাইতামা স্টেডিয়ামে বাহরাইনকে হারিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে কোচ হাজিমে মোরিয়াসুর দল। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে দিয়াচি কামাদা এবং ৮৭ মিনিটে তাকেফুসা কুবো জাপানের হয়ে গোল দুটি করেন।
এ জয়ের পর ‘সি’ গ্রুপে ৭ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করেছে জাপান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১০। ‘সি’ গ্রুপে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আছে সৌদি আরব (৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট), ইন্দোনেশিয়া (৭ ম্যাচে ৬), বাহরাইন (৭ ম্যাচে ৬) ও চীন (৬ ম্যাচে ৬)।
জাপান ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া নিয়মিত দলগুলোর একটি। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা জাপান ২০২৬ নিয়ে টানা অষ্টম বিশ্বকাপ খেলবে। সর্বশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে স্পেন, জার্মানির গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় খেলেছিল জাপান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ছ ইপর ব
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি