যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ ২৪ মামলার আসামি ‘ভাইপো রাকিবকে’ আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি টিম শহরের বেজপাড়া থেকে তাকে আটক করে।
আটক কাজী রাকিব ওরফে ভাইপো রাকিব শংকরপুর এলাকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক ভুঞা জানান, ভাইপো রাকিব যশোরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা, সাতটি অস্ত্র, চারটি বিস্ফোরক, চাঁদাবাজিসহ ২৪ টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
অভিযানে অংশ নেওয়া ডিবির এসআই শেখ আবু হাসান জানান, ২০১৫ সালের একটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালে রাজনীতিক হাতিয়ার হিসাবে কাজ করেছে রাকিব। যখনই যার সার্পোট পেতেন তার হয়েই অপরাধসহ নানা কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতো সে। রাকিবকে এর আগে একাধিকবার পুলিশ আটক করেছে। পরে জামিনে বের হয়ে ফের একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সম্প্রতি তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকাতে নেয়া হয়। যশোরে ফিরে তিনি ফের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে জড়িতদের ছাড় নয়: রিজভী
বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িতদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে তাদের কোন ছাড় নয়। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।”
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।
কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিনণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “সমাজবিরোধী কাজে যেই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ, কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানান অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
বিএনপি ১৫ বছরের অত্যাচার-অবিচার থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। জুলাই-আগস্টে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। মানুষ হয়ত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এখনও আত আতঙ্কমুক্ত নয় বলেও জানান রিজভী।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাচ্ছে না মন্তব্য করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যে কৃত্রিমভাবে সংকট সৃষ্টি করছে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববাজারে যখন গমের দাম কমেছে তখন বাংলাদেশে এর দাম বেড়েছে। জনগণকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্র এতে ব্যর্থ হলে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সামাজিক অস্থিরতা।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা