সুয়েজ খাল থেকে মাসে ৮০ কোটি ডলার হারাচ্ছে মিসর: সিসি
Published: 21st, March 2025 GMT
আঞ্চলিক সহিংস পরিস্থিতির কারণে সুয়েজ খাল থেকে মিসর প্রতি মাসে প্রায় ৮০ কোটি ডলার আয় হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে ডিসেম্বরে সিসি বলেছিলেন, কোম্পানিগুলো লোহিত সাগর এড়িয়ে চলায় ২০২৪ সালে সুয়েজ খাল থেকে দেশটির আয় কমবে প্রায় ৭০০ কোটি ডলার। এদিকে গত সপ্তাহে ইয়েমেনভিত্তিক সশস্ত্র হুতি গোষ্ঠী হুমকি দিয়েছে, ইসরায়েল যদি গাজার ওপর থেকে অবরোধ না তোলে, তবে তারা লোহিত সাগর দিয়ে যাওয়া ইসরায়েলি জাহাজের ওপর আবার হামলা চালাবে। এর মধ্যেই মার্কিন বাহিনী হুতিদের ওপর হামলা শুরু করেছে। ফলে সার্বিকভাবে সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্য পরিবহন আরও ব্যাহত হতে পারে বলেই আশঙ্কা। খবর আরব নিউজের।
এ ধরনের নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মিসর অর্থনৈতিকভাবে ভালোই করছে বলে মনে করেন সিসি। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দাভাব তো আছেই। অন্যান্য দেশের মতো মিসরকেও সেই সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ মিসরের জন্য নতুন ঋণ অনুমোদন করেছে—এ ঘটনা উল্লেখ করে সিসি বলেছেন, মিসর ভালোই করছে।
বিশ্ববাণিজ্যের ১২ শতাংশের বেশি পণ্য পরিবহন হয় এ খাল দিয়ে। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ইউরোপের বাণিজ্যের প্রাণভোমরা হলো মিসরের এ খাল। ১৮৫৯ থেকে ১৮৬৯ সালের মধ্যে এক দশকে খালটি খনন করা হয়।
সুয়েজ খাল যেমন মিসরের আয়ের বড় উৎস, তেমনি এ খাল নিয়ে মিসরের বিপদও কম নয়। আধুনিক ইতিহাসে মিসরের ওপর যত যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার সব কটি সুয়েজ খালের দখল নিয়ে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ইসরায়েল। সুয়েজ খালের ওপর তাদের শ্যেন দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই। মিসরের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বছরে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি নগদ আয়। দেশটির আয়ের তৃতীয় বৃহত্তম উৎস এটি।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, মিসরের কাছে সুয়েজ খালের অর্থনৈতিক গুরুত্ব একমাত্র বিবেচ্য নয়। আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রভাব তৈরির ক্ষেত্রে যত অস্ত্র মিসরের ভান্ডারে আছে, সুয়েজ খাল তার অন্যতম। মিসরের সবচেয়ে বড় অস্ত্র এ খাল। যুক্তরাষ্ট্র যেসব কারণে মিসরকে গুরুত্ব দেয়, সেটির পেছনেও রয়েছে সুয়েজ খাল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।