আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই-প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র-জনতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যানারসহ, ইনকিলাব মঞ্চ ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকে একটি মিছিল নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসি চত্বর ঘুরে মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যে আসে।

আরো পড়ুন:

আ.

লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একাত্মতা জানালেন বিএনপি নেতা হাবিব

হিন্দু ধর্ম নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর কটূক্তি অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

এর আগে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিলটি কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে আসে। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের মিছিলটি মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, হলপাড়া, রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের দিকে যায়।

এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলে নানা স্লোগান দেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদেও নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

তারা ‘আওয়ামী লীগের বিচার চাই’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘ইউনূস সাহেবের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘গণহত্যার বিচার চাই’, ‘অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে, নিষিদ্ধ করতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের বিষদাঁত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শহীদের দিচ্ছে ডাক, আওয়ামী লীগ নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মিছিলে ‘খুনি লীগের পুনর্বাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘জুলাইয়ের বাংলায়, গণহত্যাকারীদের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ডও আন্দোলনকারীদের হাতে দেখা যায়।

মিছিল থেকে তারা আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী সংগঠন হিসেবে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা নেই’ প্রত্যাহারের দাবিতে এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/সৌরভ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ স কর য আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ

‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে’ আগামী ২ মে (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রাজধানীর গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত দল এনসিপি।

সমাবেশ উপলক্ষে তৈরি করা প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামলের সাতটি অপরাধের কথা উল্লেখ করেছে এনসিপি। এগুলো হলো ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহ দমনের নামে ৫৭ সেনা কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড; গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহরণ; ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ; ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো হত্যাযজ্ঞ; লাখ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি, লুটপাট ও পাচার; ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনে চালানো হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চালানো নজিরবিহীন গণহত্যা।

এরপর চারটি দাবিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রচারপত্রে। এগুলো হলো প্রতিটি অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যবস্থা; আগামী নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের মীমাংসা তথা আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল; বিচার চলাকালে আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাখা এবং ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।

দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষের জমায়েত হতে পারে। এই সমাবেশে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার, দলটির নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে গত ২১ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মশালমিছিল করছে এনসিপি। এর ধারাবাহিকতায় এবার কিছুটা বড় পরিসরে ঢাকা মহানগর শাখার ব্যানারে সমাবেশ হতে যাচ্ছে।

এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা মহানগরের থানা পর্যায়ে কিছুদিন ধরে এনসিপির যে কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, এগুলোরই চূড়ান্ত সমাবেশটা হবে আগামী ২ মে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত
  • রাজধানীতে পরপর তিন দিনে তিন জনসমাবেশ
  • বিশ্বনেতাদের সতর্ক দৃষ্টির সামনেই ঘটছে গণহত্যা
  • ইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা রুখে দেওয়া হবে: মামুনুল হক
  • ২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
  • শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে মামলা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ মির্জা ফখরুলের
  • ‘বিশ্বের নজরদারির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল’
  • রাখাইনে করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ হেফাজতের
  • ইয়েমেনে মার্কিন হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা ইরানের
  • নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি