ঝিনাইদহের মহেশপুরের জীবননগর পাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আবু জাফর (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শালিসের কথা বলে ডেকে নিয়ে তাকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। 

নিহত আবু জাফর কাজীরবেড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী ও জীবননগর পাড়ার জাবেদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলমগীর হোসেন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার দুপুরে মহেশপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।

নিহতের ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, গ্রামের মাঠে আমাদের এক বিঘা জমি ছিল। পাশেই আব্বাস আলীর মেহগনি বাগান ছিল। সেই জমি ১৬ বছর আগে মাপামাপি হলে একটি গাছ আমাদের ভাগে পড়ে। এই গাছ ওদের কেটে নিতে বলেছিল আমার বাবা। তারা সেই গাছ না কাটলে ফসলের ক্ষতির শঙ্কায় তখন আমার বাবা সেই গাছটি কেটে ফেলে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন পরিস্থিতি অশান্ত ছিল। আমার বাবা টাকা দিতেও চেয়েছিল অনেকবার। পরে গতরাতে গ্রামের একটি বিষয়ে শালিস হবে বলে দুইজন ব্যক্তি বাবাকে ডেকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী আমিরের বাড়িতে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে একপর্যায়ে আব্বাস আলীর লোকজন মারপিট করলে আমার বাবা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।  

ঘটনার বিষয়ে মহেশপুরের ভৈরবা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আনিসুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক কোনো বিরোধ ছিল না এটা। মূলত জমি নিয়ে ও গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। আমরা আসামি ধরতে অভিযান চালাচ্ছি।

এ ঘটনায় আবু জাফরের মরদেহ ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা.

আশরাফুজ্জামান সজীব বলেন, নিহতের শরীরের বাইরের অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না তদন্তের স্বার্থে।

এদিকে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সামন্তা বাজারে মহেশপুর উপজেলা বিএনপি পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল। তারা দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ প ট য় হত য ন হত আম র ব ব

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা

দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ

স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।

নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
  • বিএনপির সঙ্গে চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
  • নাটক প্রকাশ নিয়ে নিলয়ের ক্ষোভ, যা জানাল দীপ্ত কর্তৃপক্ষ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে ইউটিউবে নাটক প্রকাশ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • শিল্পী-নির্মাতাকে না জানিয়ে নাটক রিলিজ, নিলয়ের ক্ষোভ
  • চাকরির নামে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
  • বিদেশে চাকরির নামে যুবকদের পাঠানো হতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, চক্রের ‘হোতা’ গ্রেপ্তার
  • ঈদ পুনর্মিলনীর নামে বিএনপির আয়োজনে আ.লীগের মিলনমেলার অভিযোগ