রমজানে মাইবিএল অ্যাপে স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক জীবনধারা
Published: 22nd, March 2025 GMT
আত্মশুদ্ধি, নিয়মানুবর্তিতা ও ইবাদতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। এই পবিত্র মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আত্মিক প্রশান্তি ও সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের আশায় নামাজ, রোজা ও ইবাদতে নিমগ্ন থাকেন। রমজানের চেতনা ধারণ করে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংকের মাইবিএল সুপার অ্যাপে রমজানের সব প্রয়োজনীয় সেবা এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে। রমজান মাসে রোজা রাখা, ইবাদত করা ও দৈনন্দিন কাজের সুবিধার্থে মাইবিএল অ্যাপে প্রয়োজনীয় সবকিছু এখন হাতের নাগালে।
রমজানের বিভিন্ন দিক সামলানো অনেক সময় বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। কাজের সহজ ব্যবস্থাপনার জন্য মাইবিএল সুপার অ্যাপ প্রয়োজনীয় সব সেবা নিয়ে আলাদা আলাদা সেকশন করেছে, যার মাধ্যমে ইসলামিক কনটেন্ট দেখা থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ—সবই স্বাচ্ছন্দ্যদায়কভাবে করা যাবে।
মাহে রমজানে আত্মিক পরিশুদ্ধি
কোরআন ও হাদিসসহ নানা ইসলামিক বিষয়বস্তুর আলোকে মাইবিএল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের চিন্তাধারাকে আরও বিস্তৃত করতে অ্যাপটিতে রয়েছে ইসলামিক কনটেন্টের আলাদা সেকশন, যা ব্যবহারকারীদের ধর্মীয় জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক সংযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এর মধ্যে রয়েছে সঠিকভাবে নামাজ আদায়ে নামাজ শিক্ষা এবং সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। এছাড়াও, এ সেকশনে হাদিস, কোরআন তিলাওয়াত ও সাপ্তাহিক ইসলামিক পডকাস্ট রয়েছে, যা আত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রাখবে।
যারা কোরআনের গভীর অর্থ বুঝতে চান, তাদের জন্য কোরআন লার্নিং কোর্স রয়েছে, যা নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ করে দেয়। রমজান মাসে ধর্মীয় অনুশীলনকে আরও অর্থবহ করতে এই সব ফিচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঝামেলা ছাড়াই টিকিট বুকিং
রমজান শেষে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফিরতে কিংবা অনেক সময় রোজার মধ্যেই ভ্রমণ করতে হয়। এ সময় টিকেটের চাহিদাও তুলনামূলক বেশি থাকে এবং টিকেট কাটতে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু এ নিয়ে মাইবিএল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে। তারা এ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে তাৎক্ষণিক টিকেট বুকিং দিতে পারবেন—পোহাতে হবে না কোন ঝামেলা।
স্বাচ্ছন্দ্যে বিল পরিশোধ
রমজানে ব্যস্ততার মধ্যে আর্থিক ব্যবস্থাপনা কঠিন হয়ে ওঠে। তাই, ব্যবহারকারীদের সুবিধা অগ্রাধিকার দিয়ে মাইবিএল অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে বিল পরিশোধ সুবিধা। ফলে, ম্যানুয়াল পেমেন্টের ঝামেলা না নিয়েই এখন মাইবিএল অ্যাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল দ্রুত ও নিরাপদে পরিশোধ করা যাবে, ম্যানুয়াল পেমেন্টের ঝামেলা ছাড়াই—ব্যবহারকারীরা ইবাদতে ও ব্যক্তিগত কাজে আরও বেশি সময় দিতে পারেন।
হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা
রোজার কারণে দৈনন্দিন রুটিন বদলে যায়, তাই সুস্থতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাইবিএল সুপার অ্যাপে রয়েছে ২৪/৭ ভার্চুয়াল ডাক্তারের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, দীর্ঘমেয়াদি রোগ ব্যবস্থাপনা ও ওষুধ ডেলিভারি -- সবকিছুই সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যে। রমজানে রোজাদারদের স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায়ে ভূমিকা রাখবে মাইবিএল অ্যাপ।
রমজানে স্বাচ্ছদ্যদায়ক জীবনধারা
মাইবিএল সুপার অ্যাপ শুধু কোন ডিজিটাল সল্যুশন নয়, এর চেয়েও বেশি কিছু। রমজান মাসে এ অ্যাপ হতে পারে আপনার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের জন্য রোজা, ইবাদত, ভ্রমণ, আর্থিক লেনদেন ও স্বাস্থ্যসেবার সব সুবিধা একসাথে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন নিয়ে আসা ও ব্যবহারকারীদের জীবন সহজ করে তোলার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই মাইবিএল অ্যাপ।
এই রমজানে মাইবিএল সুপার অ্যাপের সাথে উপভোগ করুন স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক জীবনধারা। সহজে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে অ্যাপটি এর ব্যবহারকারীদের নির্ভার থাকতে ভূমিকা রাখবে, যেনো তারা পবিত্র রমজান মাসে ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির পথে নিজেদের সমপর্ন করতে পারেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: রমজ ন রমজ ন ম স ইসল ম ক জ বনধ র পর শ ধ ক রআন
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।