দেশের অন্যতম চাহিদা নির্ভর অর্থকরী ফসল তুলা। কুষ্টিয়া জেলায় উৎপাদিত তুলার আঁশের গুণগত মান ভালো হওয়ায় এখানকার তুলার চাহিদাও থাকে বেশি। এবছর তুলার ফলন সন্তোষজনক হলেও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে চাষিরা। 

চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় ২ হাজার ৩৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের তুলার চাষ হয়েছে। যার সিংহভাগই দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে অতিবর্ষণে ক্ষতির সম্মুক্ষীন হন চাষিরা। তারা জানান, প্রতিবিঘা জমিতে তুলা চাষে তাদের খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ। চার হাজার টাকা তুলার মণ হওয়ায় লাভের পরিমাণ কম হচ্চে।

দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের তুলাচাষি রুস্তম আলী বলেন, “এ বছর তুলা চাষে চাষিদের খরচ বেশি হওয়ায় বর্তমান বাজার দরে লাভের অংক কম হবে।” একই কথা জানিয়েছেন প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাতুয়া গ্রামের চাষি ইসমাইল হোসেন।

আরো পড়ুন:

মিষ্টি ভুট্টায় সফলতার স্বপ্ন দেখছেন স্কুল শিক্ষক মনি

তামাকের রাজ্যে পরিণত হচ্ছে দীঘিনালা

কুষ্টিয়া অঞ্চলের তুলার আঁশ ভালো হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারদর সমন্বয় করে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা তুলার দাম নির্ধারণ করে এ অঞ্চলের তুলা ক্রয় করা হয় বলে জানিয়েছেন আল মদিনা ইন্ড্রাষ্ট্রিজ লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী গোলাম ফরহাদ।

কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ আল মামুন বলেন, “তুলা চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বীজ নির্ধারন, বীজতলা রোগমুক্ত রাখতে চাষিদের কারিগরি পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে তুলা উন্নয়ন বিভাগ।”

তুলার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হলে চাষিরা তুলাচাষে আগ্রহী হবে এবং চাহিদা নির্ভর তুলা চাষ বৃদ্ধি পাবে এমনটি মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল হওয় য়

এছাড়াও পড়ুন:

‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল

শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ