বাংলাদেশ–পাকিস্তান ৮ ওয়ানডে বদলে গেল টি–টোয়েন্টিতে
Published: 23rd, March 2025 GMT
২০০৭ সাল থেকে সাদা বলে দুটি বিশ্বকাপ হচ্ছে ক্রিকেটে। সামনে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি যে বিশ্বকাপই থাকে, এখন এশিয়া কাপও হয় সেই সংস্করণে। এমনকি বিশ্বকাপ খেলুড়ে দলগুলোর দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও গুরুত্ব পেতে থাকে পরবর্তী বিশ্বকাপ সংস্করণের ক্রিকেট।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে সেপ্টেম্বরে ভারতে হওয়ার কথা এশিয়া কাপ ক্রিকেট। বিশ্বকাপ যেহেতু টি-টোয়েন্টি সংস্করণের, এশিয়া কাপেও টি-টোয়েন্টিই হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তো দুই দেশের মধ্যে আসন্ন দুটি সিরিজ থেকেও ওয়ানডে পুরোপুরি ছেঁটে ফেলেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মে মাসে পাকিস্তান এবং জুলাই মাসে বাংলাদেশে হতে যাওয়া দুটি সিরিজের ৮টি ম্যাচই হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
আগামী বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। মূলত এ কারণেই দুই বোর্ড মনে করেছে এখন টি-টোয়েন্টি ম্যাচই বেশি খেলা উচিত। বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী মে মাসে পাঁচ ওয়ানডের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুই বোর্ডের সম্মতিতে ওয়ানডের পরিবর্তে সিরিজটা এখন হবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। আবার এফটিপির বাইরে জুলাই মাসে বাংলাদেশে এসে পাকিস্তানের খেলার কথা ছিল তিন ওয়ানডের সিরিজ। সেটিও এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরে এই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে এসে ম্যাচ তিনটি খেলবে পাকিস্তান দল।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ওয়ানডেতে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।