বাসসের এমডি মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
Published: 23rd, March 2025 GMT
মানহানির অভিযোগে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (এমডি) মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক ও কবি আবদুল হাই শিকদার। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ রোববার তিনি এ মামলা করেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদ নামের এক ব্যক্তি। মামলায় আসাদকে আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলার বিবাদী মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনকে আগামী ২৮ এপ্রিল হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই আইনজীবী আরও বলেন, তাঁর মক্কেল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত একজন সাংবাদিক ও কবি। তাঁর সম্পর্কে ফেসবুকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ তিনজন বিবাদী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তিন বিবাদীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ জানুয়ারি মাহবুব মোর্শেদ তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি আবদুল হাই শিকদারের লেখা বলে আসামিরা দাবি করেন।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, আবদুল হাই শিকদারকে নিয়ে মামলার আসামিদের তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওই কবিতা বিবাদীরা নিজেরা তৈরি করেছে। এগুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বাদীর সম্মানহানি হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হব ব ম র শ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাগেরহাটে ৪ আসন বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে কৃষিজমির মাটি কাটার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা ছাত্রলীগ নেতার রিট বাতিল
বাগেরহাট প্রেস ক্লাব ও অন্যান্যদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন রিট পিটিশন দাখিল করেন। এছাড়া চিতলমারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট ১ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল একই বিষয়ে পৃথক রিট পিটিশন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতা ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “আমরা রিট পিটিশন করেছি। আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং ১০ দিনের রুল জারি করেছেন। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাব এবং বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে।”
গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকে বাগেরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতেও অংশ নেয় তারা।
তবে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নির্ধারণ করা হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ঢাকা/শহিদুল/বকুল