জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর সঙ্গে বিশ্বে যেন আবারও ফিরে এসেছে বাণিজ্যযুদ্ধ। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।

পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে চীনও। এমন অবস্থায় দুই পরাশক্তির শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।

তিনি বলেছেন, চীন এবং আমেরিকা শান্তি স্থাপন করলে উভয় দেশই লাভবান হবে। এমনকি চীন এবং আমেরিকা যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স এবং বেইজিংয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন।

ইংরেজি ভাষার চায়না ডেইলি সংবাদপত্র অনুসারে লি বলেন, “চীন এবং আমেরিকা যদি শান্তি স্থাপন করে, তাহলে আমরা উভয়েই লাভবান হব; যদি তারা যুদ্ধ করে, তাহলে আমরা উভয়েই হেরে যাব। সংঘর্ষের পরিবর্তে আমাদের সংলাপ এবং উইন-উইন সহযোগিতার মাধ্যমে লড়াই করা উচিত। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করবে  চীন এবং আমেরিকা।”

চীনের এই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চীন সর্বদা “যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের কোম্পানিগুলোকে (চীনা ভূখণ্ডে) স্বাগত জানায়” এবং “তাদের বৈধ দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমানভাবে বিবেচনা এবং একটি সুস্থ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলবে চীন।”

মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স বলেন, “আমরা যখন চীনের দিকে তাকাই, তখন দেখি- ১৯৯১ সালে চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা তারও কিছু বেশি ছিল। গত ৩৪ বছরে আমরা চীনের বৃদ্ধি এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ডেইন্সও অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও উচ্চ-স্তরের সংলাপের আশা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন এই সিনেটর এর আগে আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহীদের সাথে বেইজিংয়ে বার্ষিক চীন উন্নয়ন ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছিলেন।

চীনা অর্থনীতির সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অনেকেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লি কিয়াং বলেন, “সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ধাক্কার জন্য প্রস্তুত” চীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস য কর ছ ন র জন য আম র ক

এছাড়াও পড়ুন:

করোনাসংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি যে যে নির্দেশনা

ডেঙ্গু ও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা কাজে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

আজ রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি ২টি পাঠানো হলো। এই চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক এ অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো প্রতিপালনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনা ১-এ বলা হয়েছে, দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারণা কাজে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

নির্দেশনা ২- এ বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো-

১.বারবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত: ২০ সেকেন্ড),

২. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা,

৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা,

৪. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা, হাঁচি-কাশির সময় বাহ-টিস্যু-কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ