চীন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ হলে উভয়েই হেরে যাবে : চীনা প্রধানমন্ত্রী
Published: 24th, March 2025 GMT
জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর সঙ্গে বিশ্বে যেন আবারও ফিরে এসেছে বাণিজ্যযুদ্ধ। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই চীনের পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে চীনও। এমন অবস্থায় দুই পরাশক্তির শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
তিনি বলেছেন, চীন এবং আমেরিকা শান্তি স্থাপন করলে উভয় দেশই লাভবান হবে। এমনকি চীন এবং আমেরিকা যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স এবং বেইজিংয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলার সময় জানিয়েছেন।
ইংরেজি ভাষার চায়না ডেইলি সংবাদপত্র অনুসারে লি বলেন, “চীন এবং আমেরিকা যদি শান্তি স্থাপন করে, তাহলে আমরা উভয়েই লাভবান হব; যদি তারা যুদ্ধ করে, তাহলে আমরা উভয়েই হেরে যাব। সংঘর্ষের পরিবর্তে আমাদের সংলাপ এবং উইন-উইন সহযোগিতার মাধ্যমে লড়াই করা উচিত। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করবে চীন এবং আমেরিকা।”
চীনের এই প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, চীন সর্বদা “যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের কোম্পানিগুলোকে (চীনা ভূখণ্ডে) স্বাগত জানায়” এবং “তাদের বৈধ দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমানভাবে বিবেচনা এবং একটি সুস্থ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলবে চীন।”
মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স বলেন, “আমরা যখন চীনের দিকে তাকাই, তখন দেখি- ১৯৯১ সালে চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা তারও কিছু বেশি ছিল। গত ৩৪ বছরে আমরা চীনের বৃদ্ধি এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ডেইন্সও অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও উচ্চ-স্তরের সংলাপের আশা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন এই সিনেটর এর আগে আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহীদের সাথে বেইজিংয়ে বার্ষিক চীন উন্নয়ন ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছিলেন।
চীনা অর্থনীতির সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অনেকেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বহিরাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লি কিয়াং বলেন, “সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ধাক্কার জন্য প্রস্তুত” চীন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য কর ছ ন র জন য আম র ক
এছাড়াও পড়ুন:
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের কাউন্সিল কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান তফসিল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ মে খসড়া ভোটার তালিকা ও খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। ২১ মে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। ৩০ জুন চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ ১ থেকে ৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ১ থেকে ৭ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীগণ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ৯ জুলাই।
মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে ১১ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আপিলের শুনানি গ্রহণ ও রায় ঘোষণা করা হবে ১৩ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৪ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৫ জুলাই। ১৬ থেকে ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুলাই।
১৯৯২ সালে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের জাকসু নির্বাচন।
ঢাকা/আহসান/রাজীব