প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন নগরবাসী। আজ সোমবার ছিল ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক অভিভাবক আগেভাগে বাড়ি ফিরছেন। আর যেহেতু ঈদযাত্রার প্রথম দিন, তাই কমলাপুর রেলস্টেশনে তেমন ভিড়ও ছিল না।

কমলাপুর থেকে ঈদযাত্রার প্রথম ট্রেন রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় আজ সকাল ছয়টায়। যাত্রীরা স্বচ্ছন্দেই গেছেন। সকাল ও দুপুরে কমলাপুরে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে বিকেলের দিকে স্টেশনে হালকা ভিড় দেখা গেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানা যায়, আজ আন্তনগর, মেইল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে মোট ৬৬টি ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার শিডিউল রয়েছে। এর মধ্যে রাত ১০টা পর্যন্ত বেশির ভাগ ট্রেন ঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। শুধু বুড়িমারী এক্সপ্রেস দেড় ঘণ্টা আর এগারো সিন্ধুর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে গেছে।

বিকেলে কমলাপুর স্টেশনে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিসা বিনতে আনোয়ারের সঙ্গে। এবারের ঈদযাত্রায় মায়ের সঙ্গী তিনি। যাবেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে মায়ের হাতে মেহেদির নকশা এঁকে দিচ্ছিলেন। ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন কি না, জিজ্ঞেস করতেই নাফিসার মুখে হাসি ফুটে উঠল। বললেন, ‘ঈদে বাড়ি যেতে ভালো লাগে। আত্মীয়স্বজনের মিলনমেলা আমাকে টানে। ঢাকায় একা একা ঈদ করতে ভালো লাগে না।’

যানজট এড়াতে আগেভাগেই কমলাপুর রেলস্টেশন পৌঁছেছেন মা-মেয়ে। ট্রেন ছাড়ার আগে প্ল্যাটফর্মে বসে মায়ের হাতে মেহেদির নকশা করে দিচ্ছেন মেয়ে। ঢাকা, ২৪ মার্চ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঈদয ত র কমল প র

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় অপু গ্রেপ্তার

রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় এজাহারনামীয় আসামি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ওয়ারী থেকে ডিবির ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপু এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। এ সময় শাম্মী আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় তার স্বামী সিদ্দিক আবু জাফরকে জিম্মি করে ভয় দেখানো হয়।

চক্রটি বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপে ১০ লাখ টাকা আদায় করে নেয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ভাগ পান অপু এবং বাকি ৫ লাখ পান রিয়াদ। চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও গুলশানের ওই বাসায় গেলে চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং আমিনুল ইসলাম। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বিভিন্ন পদে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপরই  তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, চাঁদাবাজির এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এজাহারনামীয় ছয় আসামি ও অজ্ঞাত ১০-১২ জন সমন্বয়ক পরিচয়ে ১৭ জুলাই সকালে আমার গুলশান-২ নম্বরের বাসায় আসে। যার মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করে। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেখায়। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে ১৯ জুলাই রাতে রিয়াদ ও অপু আমার বাসায় এসে ধাক্কাধাক্কি করে, যা আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই। এ সময় অভিযুক্তরা সেখান থেকে সটকে পড়ে।

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে রিয়াদের নেতৃত্বে আসামিরা আমার বাসার সামনে এসে আমাকে খুঁজতে থাকে। আমি বাসায় না থাকায় বাসার দারোয়ান আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এ সময় আসামিরা তাদের দাবিকৃত আরো ৪০ লাখ টাকা না দিলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হবে বলে হুমকি দিতে থাকে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ