অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টায় আটক বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরাতে চুক্তি
Published: 24th, March 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে আটক হওয়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফেরাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ। সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ’ শীর্ষক চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াটচার্চ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের একটি টিম এসেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি সমস্যা এবং আমাদের আইন প্রয়োগ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপের জন্য তারা এসেছে। অস্ট্রেলিয়া লাগোয়া অনেক দেশ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কাছাকাছি দেশ। যেখান থেকে খুব দ্রুত নৌপথে সেখানে চলে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, স্থলপথে অনেকে অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি গিয়ে নৌপথে দেশটিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাধারণত তারা এ ধরনের কাউকে ধরলে তাঁর নিজ দেশে ফেরত পাঠায়। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটা করার কথা। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের মূল্য দেয়, তাই তারা এসেছে– এটার কী করা যায়। আমরা বললাম, স্ট্যান্ডার্ড যে প্রসিডিং আছে, সেটিই ঠিক। এর সঙ্গে উৎস দেখা দরকার– মানুষ কেন দৌড়াচ্ছে সেখানে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ ঘরবাড়ি বিক্রি করেছে, কেউ জমি। কেউ টাকা ধার করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা পরস্পর একমত হয়েছি যে, আমাদের দেশের লোক নিশ্চিত হলেই আমরা গ্রহণ করব। কী পদ্ধতিতে তাদের গ্রহণ করব, সেটার ফাংশনাল পার্টটা আজ সই হয়েছে। চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা প্রথমে আমাদের কাছে নাম পাঠাবে। আমরা যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে তাদের জানাব। তারপর তারা দ্রুত সময়ে আমাদের লোক পাঠাবে। তিনি জানান, অনেক বাংলাদেশি এখন সেখানে বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আছে। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে তাদের সহজেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।