অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে আটক হওয়া বাংলাদেশিদের দ্রুত দেশে ফেরাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ। সোমবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ’ শীর্ষক চুক্তি সই হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াটচার্চ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের একটি টিম এসেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি সমস্যা এবং আমাদের আইন প্রয়োগ সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপের জন্য তারা এসেছে। অস্ট্রেলিয়া লাগোয়া অনেক দেশ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কাছাকাছি দেশ। যেখান থেকে খুব দ্রুত নৌপথে সেখানে চলে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, স্থলপথে অনেকে অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি গিয়ে নৌপথে দেশটিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাধারণত তারা এ ধরনের কাউকে ধরলে তাঁর নিজ দেশে ফেরত পাঠায়। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটা করার কথা। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কের মূল্য দেয়, তাই তারা এসেছে– এটার কী করা যায়। আমরা বললাম, স্ট্যান্ডার্ড যে প্রসিডিং আছে, সেটিই ঠিক। এর সঙ্গে উৎস দেখা দরকার– মানুষ কেন দৌড়াচ্ছে সেখানে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ ঘরবাড়ি বিক্রি করেছে, কেউ জমি। কেউ টাকা ধার করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। 

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা পরস্পর একমত হয়েছি যে, আমাদের দেশের লোক নিশ্চিত হলেই আমরা গ্রহণ করব। কী পদ্ধতিতে তাদের গ্রহণ করব, সেটার ফাংশনাল পার্টটা আজ সই হয়েছে। চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা প্রথমে আমাদের কাছে নাম পাঠাবে। আমরা যাচাই করে নিশ্চিত হয়ে তাদের জানাব। তারপর তারা দ্রুত সময়ে আমাদের লোক পাঠাবে। তিনি জানান, অনেক বাংলাদেশি এখন সেখানে বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আছে। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে তাদের সহজেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

তালেবানের আমন্ত্রণে আফগানিস্তান সফরে মামুনুল হকসহ সাত আলেম

ইমারাত এ ইসলামিয়ার (তালেবান সরকার) আমন্ত্রণে আফগানিস্তান সফরে গেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সাতজন আলেম। সফরে আফগানিস্তানের প্রধান বিচারপতি, একাধিক মন্ত্রী, শীর্ষ আলেম ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন তাঁরা।

গতকাল বুধবার সকালে আলেমদের এই প্রতিনিধিদল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পৌঁছান। এই দলে মাওলানা মামুনুল হক ছাড়াও আছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ (মধুপুরের পীর), মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী ও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সফরে বাংলাদেশের আলেমদের প্রতিনিধিদল ইমারাত এ ইসলামিয়া (তালেবান) সরকারের প্রধান বিচারপতি, একাধিক মন্ত্রী, শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন। বিশেষভাবে মানবাধিকার ও নারী অধিকার বিষয়ে পশ্চিমা মহলে যে সমালোচনা রয়েছে, সে প্রসঙ্গেও তাঁরা বাস্তব অবস্থান সরাসরি পরিদর্শন করবেন।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালেবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের আলেমদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ