হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন পাশের মানুষের সহযোগিতা। যার চোখের সামনে ঘটনাটি ঘরে সেই মানুষটি সহযোগিতা না করলে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
ডা. সি এম শাহীন কবীর, এমবিবিএস, এমডি (কার্ড)’ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘যদি আপনার কাছের লোকের দেখেন যে তীব্র বুকে ব্যথা হচ্ছে, ব্যথার তীব্রতা ছড়িয়ে যাচ্ছে গলায় এবং বামহাতে, প্রচুর ঘাম হচ্ছে তখন কার্ডিয়াক ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আমরা ইসিজি করে নিশ্চিত করি যে, হার্ট অ্যাটাকজনিত কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা। যদি ঘটে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইনিশিয়ালি কিছু ওষুধ সেবন করানো হয়। সেগুলোর মধ্যে থাকে ইকোস্প্রিনজাতীয় ওষুধ। এতে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে।’’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি বুকে ব্যথা হলে অনেকে হাসপাতালে যেতে গড়িমসি করেন। তারা মনে করেন বুকের ব্যথা হয়তো হার্টের কারণে নয়, এটা গ্যাসের সমস্যার জন্য হচ্ছে। বা মাংসপেশীর ব্যথার জন্য হচ্ছে। কিন্তু আমার পরামর্শ হচ্ছে যাদের এই ধরনের সমস্যা দেখা দেবে তাদের বড় ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে।’’
আরো পড়ুন:
পুরনো প্রসাধনী থেকে যেসব সংক্রমণ হতে পারে
কখন বুঝবেন রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে গেছে
ডা.
অনেক সময় হার্টে রিং পরানোর প্রয়োজন হতে পারে। যাদের হার্টে রিং পরানো হয় তাদের অন্য রক্তনালীগুলো যাতে ব্লক না হয় সেজন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে।
মেডিটেশন করতে হবে।
সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে।
সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মে মাসে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
চলতি মাসে ধেয়ে আসতে পারে এক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড়। সেই সঙ্গে এ মাসে শিলা ও বজ্রবৃষ্টিসহ তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম কামরুল হাসানের সই করা একমাসের দীর্ঘ মেয়াদি পূর্বাভাসে এই তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে যার মধ্যে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
আরো পড়ুন:
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজালে’ পরিণত, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত
উপকূল রক্ষা করছে বনাঞ্চল, কিন্তু বন বাঁচাতে নেই উদ্যোগ
তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও মাঝারি (৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ১ থেকে ২টি তীব্র (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি থাকতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, “মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বাড়তে পারে।”
এদিকে, মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোয় স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বিচ্ছিন্ন ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানি সমতল সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঢাকাসহ ৮ জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি জেলায় বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে প্রায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে। একইসঙ্গে দেশের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হওয়া ও শিলাসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের সই করা এই সতর্কবার্তায় জানানো হয়, ঢাকা, শেরপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জনসাধারণকে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঘরে অবস্থান করা, অপ্রয়োজনে যাত্রা এড়িয়ে চলা এবং নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা। একইসঙ্গে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি কংক্রিটের মেঝেতে শোয়া বা দেয়ালে হেলান দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর প্লাগ খুলে রাখার এবং জলাশয় থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিবাহী যে কোনো বস্তু থেকে দূরে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সতর্কবার্তায়। শিলাবৃষ্টির সময় সবাইকে ঘরে থাকারও আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা/হাসান/সাইফ