বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কের শাস্তির আইন সংশোধনের দাবি
Published: 26th, March 2025 GMT
বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার আইনের সংশোধন চায় পুরুষ অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’। নারী-পুরুষ উভয়কে এ আইনে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ডি এম সরকার বলেন, বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক শুধু পুরুষের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ এটা ন্যায়বিচার পরিপন্থি। বাস্তবে নারী নির্যাতনের ২ শতাংশ মামলার রায় হয়। বাকি ৯৮ শতাংশ প্রমাণই হয় না।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে আর এ ক্ষেত্রে তার পুরুষ সঙ্গীটির ৭ বছর পর্যন্ত জেল হবে, এ রকম বিধানে কীভাবে আইন প্রণেতারা সম্মতি দিয়েছেন তা বোধগম্য নয়। এখানে একজন নারীকে নির্বোধ পুতুল হিসেবে বোঝানো হচ্ছে! যিনি কোনো পুরুষের আশ্বাসে পড়ে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু একপক্ষকে শাস্তি দেওয়া ন্যায়বিচার পরিপন্থি। আমরা মনে করি এ ধরনের সম্পর্কে নারী-পুরুষ দুজনের সমান শাস্তির বিধান করা হোক।
এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, অনেক প্রণয়ের সম্পর্ক নারীরাও ভেঙে দেয়। একজন নারী যদি প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভেঙে অন্য কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন, তবে তার পুরুষ সঙ্গীটি কি পারবেন আইনের দ্বারস্থ হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ কিংবা অন্য কোনো মামলা করতে? উত্তর হচ্ছে- ‘না’। তবে, এমন ধরনের বৈষম্যমূলক আইন কীভাবে যৌক্তিক?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান (সুপ্রিম কোর্ট), ঢাকা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ইফতেখার হোসেন, সদস্য আমিনুল ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত ও সোনারগাঁও উপজেলার সভাপতি শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খোকন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র আইন
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
কুমিল্লায় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, “গত দুইদিনে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার আরো একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।”
তিনি বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কুমিল্লা নগরের, কেউ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। সবার নমুনা কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে আরো ১ জনের করোনা শনাক্ত
কিট সংকটে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ
ডা. বশির আহমেদ বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। দুইজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
করোনার প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন কুমিল্লায় নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন নগরবাসী। হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মাস্ক পরছেন এবং সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছেন। তবে, গণপরিবহন, বাজার কিংবা ওষুধের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি।
কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন, “আবার যেন সেই দিনগুলো ফিরে আসছে। দোকান-বাজারে মাস্ক ছাড়া মানুষ চলাফেরা করছে। আমরা তো আরেক দফা লকডাউনের ভয়ে আছি।”
সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রচার অভিযান চালানো হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডাক্তার সানজিদুর রহমান বলেন , “করোনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা অবহেলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা জটিল হতে পারে।”
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কুশ বড়ুয়া বলেন, “করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ