যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
Published: 26th, March 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আট বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মুজিবর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশে দিয়েছে জনতা। গতকাল মঙ্গলবার পৌরসদরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে পিটুনি দেয়। তিনি উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী শিশু বাড়ির পাশে পানি আনতে গিয়েছিল। এ সময় রাস্তায় একা পেয়ে পেশায় রাজমিস্ত্রি মুজিবর শিশুটির এক প্রতিবেশীর বাড়ি চিনিয়ে দিতে বলে। একপর্যায়ে তার শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন। এতে ভয় পেয়ে শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে মুজিবরকে আটকে ফেলে।
শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মুজিবর রহমানের স্বজন ইউপি সদস্য আশরাফুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘মুজিবর সেখানে একটি বাড়িতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে বাড়ি চিনতে না পেরে এক শিশুর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর শরীরে খারাপভাবে হাত দিতে পারেন।’
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম জ বর
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরা-৪ আসনের পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শ্যামনগর পৌরসভায় এসব কর্মসূচি পালিত হয়।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতক্ষীরার ২টি আসনসহ দেশের মোট ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শ্যামনগরে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে দুই শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তাঁরা ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না’, ‘শ্যামনগর আসন ছিল, শ্যামনগর থাকবে’, ‘পুনর্গঠন সিদ্ধান্ত বাতিল কর, করতে হবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে জেসি কমপ্লেক্স চত্বরে পথসভা করে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের আসন পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সোলায়ামন কবীর, জেলা বিএনপির সদস্য জি এম লিয়াকত আলী, সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটির আসন পুনর্বিন্যাস করে প্রাথমিক গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পুনর্বিন্যাস করার আগে সাতক্ষীরা-৪ আসনটি শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও পাশের কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করে শ্যামনগর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা-৪ আসন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শ্যামনগর উপজেলার সঙ্গে আশাশুনি উপজেলার সরাসরি যোগযোগ নেই। শ্যামনগর থেকে আশাশুনি যেতে হলে কালীগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে অথবা নৌকায় নদী পার হয়ে যেতে হয়।
অন্যদিকে সাতক্ষীরা-৩ আসনে ছিল আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ উপজেলার একাংশ ৪টি ইউনিয়ন। পুনর্বিন্যাস করে কালীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে সংসদীয় আসন গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।