সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আট বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মুজিবর রহমান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশে দিয়েছে জনতা। গতকাল মঙ্গলবার পৌরসদরে এ ঘটনা ঘটে। শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে পিটুনি দেয়। তিনি উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভুক্তভোগী শিশু বাড়ির পাশে পানি আনতে গিয়েছিল। এ সময় রাস্তায় একা পেয়ে পেশায় রাজমিস্ত্রি মুজিবর শিশুটির এক প্রতিবেশীর বাড়ি চিনিয়ে দিতে বলে। একপর্যায়ে তার শরীরে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন। এতে ভয় পেয়ে শিশুটি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে মুজিবরকে আটকে ফেলে।

শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। মুজিবর রহমানের স্বজন ইউপি সদস্য আশরাফুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘মুজিবর সেখানে একটি বাড়িতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে বাড়ি চিনতে না পেরে এক শিশুর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর শরীরে খারাপভাবে হাত দিতে পারেন।’

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি মো.

হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, ঘটনার শিকার শিশুর মায়ের করা মামলায় আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম জ বর

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি 

অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির

ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”

তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর