ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা
Published: 26th, March 2025 GMT
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ২৪ জেলার মানুষ ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
পদ্মা সেতুর কল্যাণে এ বছরও এই পথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে চলছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কোথাও বিড়ম্বনা নেই।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা থেকে দ্রুত টোল সংগ্রহ করতে টোল আদায়ের সবগুলো বুথ সচল রাখা হয়েছে। সাতটি বুথে নিরবচ্ছিন্ন টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
উত্তরের পথে ঘরমুখো মানুষের চাপ, নেই যানজট
থ্রি-হুইলার হাইওয়েতে উঠলেই অবৈধ হবে: অতিরিক্ত আইজি
এছাড়া বরাবরের মতো মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুতে আলাদা লেন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী বাসযাত্রী রফিক বলেন, ‘‘ঈদ করতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। রাস্তায় কোনো বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি। পদ্মা সেতু পার হয়ে নিজ বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ করব ভাবতেই ভালো লাগছে।’’
বাসযাত্রী রহিম শেখ বলেন, ‘‘আমি ঢাকা থেকে ফরিদপুর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় আসতে মাত্র এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।’’
এদিকে ঈদযাত্রায় মহাসড়কের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
পদ্মা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ জানান, বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮০১৩টি গাড়ি পার হয়েছে। এসব গাড়িগুলো থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, পুরো মহাসড়কে নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৮টি ইউনিটে ৪ শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে চারস্তর নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে এ সড়কে নিরাপত্তার স্বার্থে দিনে ও রাতে চার শতাধিক পুলিশ কাজ করবে।
ঢাকা/রতন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ উৎসব হ ইওয়
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস