ইউসেপ অ্যাসোসিয়েটস মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (ইউএএমসিএসএল) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পারভীন মাহমুদ। ইউএএমসিএসএলের  আয়োজনে ২০ মার্চ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে পারভীন মাহমুদ সমিতির সভাপতি হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য নিযুক্ত হন।  

পারভীন মাহমুদ ২০০৪ সাল থেকে ইউসেপ বাংলাদেশের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তিনি ২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরস এর পঞ্চদশ চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অফ গভর্নরসের ভাইস-চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

সামাজিক উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন ও পেশাদার অ্যাকাউন্টিং ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তিনি। ২০১১ সালে আইসিএবি’র প্রথম মহিলা সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি কাউন্সিলে তাঁর তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সার্কের শীর্ষ অ্যাকাউন্টিং পেশাদার সংস্থা সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ অ্যাকাউন্ট্যান্টস এর প্রথম মহিলা বোর্ড সদস্যও ছিলেন। সিএ ফিমেল ফোরাম-উইমেন ইন লিডারশিপ কমিটি, আইসিএবি-এর চেয়ারপারসন এবং সাফার উইমেন ইন লিডারশিপ কমিটির ভাইস চেয়ারপারসনও ছিলেন। তিনি অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। 

পারভীন মাহমুদ ২০১৮ সালে আরটিভি থেকে ‘জয়া আলোকিত নারী’ পুরস্কার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) থেকে ‘উইমেন অ্যাট ওয়ার্ক’ পুরস্কার ২০১৭ এবং বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন ফর লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বোল্ড) থেকে ‘উইমেন অব ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ পেয়েছেন। এছাড়া, ২০০৬ সালে নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন থেকে ‘বেগম রোকেয়া শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন, যা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কম ট উইম ন ইউস প

এছাড়াও পড়ুন:

পবিত্র আশুরা আজ

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদী-তীরবর্তী কারবালার ময়দানে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র। হজরত আলীর মৃত্যুর পর খলিফা হন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন।

তবে ইয়াজিদের কাছে বায়াত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন (রা.)। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন তিনি। পরে কারবালা ময়দানে সঙ্গীদের নিয়ে যাত্রাবিরতি করেন। ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ বিন আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।

আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। পানির অভাবে কাফেলার নারী-শিশুরা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তাঁর ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হোসেনকে হত্যা করে।

ইসলাম ধর্মমতে, ১০ মহররম আশুরার দিনেই কেয়ামত হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন।

কারবালার শোকাবহ স্মরণ ছাড়াও মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম গুরুত্বপূর্ণ দিন। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে এ দিনে মাতম করেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয় তাজিয়া মিছিল।

আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। তিনি সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ