হল্যান্ডের ইনজুরিতে ম্লান সিটির সেমিতে ওঠার আনন্দ
Published: 31st, March 2025 GMT
এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বোর্নমাউথকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা সপ্তমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে সিটিজেনদের এই জয় ম্লান করে দিয়েছে স্ট্রাইকার আর্লিং হল্যান্ডের ইনজুরি। ম্যাচে সমতাসূচক গোল করেছিলেন হালান্ড, কিন্তু চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বদলি হিসেবে নেমে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওমর মারমুশ।
ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বোর্নমাউথ। ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ আসে দশম মিনিটে, তবে বের্নার্দো সিলভার ক্রসে হলান্ডের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় সিটি, ডি-বক্সে বল হাতে লাগায় বোর্নমাউথ ডিফেন্ডার অ্যাডামস। কিন্তু স্পটকিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন হালান্ড, তার শট রুখে দেন কেপা আরিজাবালাগা।
এরপর ২১ মিনিটে ম্যানসিটি রক্ষণভাগের ভুলে এগিয়ে যায় বোর্নমাউথ। সিটির ডিফেন্সে গড়ে ওঠা জটলার সুযোগ নিয়ে স্ট্রাইকার এভালিসন গোল করেন, ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেয় স্বাগতিক দলকে। এরপর সিটি একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি, ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
বিরতির পর ফিরে ম্যাচে সমতা ফেরান হল্যান্ড। ৪৯ মিনিটে তার দুর্দান্ত গোলেই ম্যাচে ফিরেছিল সিটি। কিন্তু ৫৬ মিনিটে বোর্নমাউথ রাইটব্যাক লুইস কুকের সঙ্গে সংঘর্ষে গোড়ালিতে ব্যথা পান তিনি। প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর ব্যথা বাড়ায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন নরওয়েজিয়ান তারকা।
হল্যান্ডের বদলি হিসেবে নামা ওমর মারমুশ ৬৩ মিনিটে গোল করে ম্যানসিটিকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। এরপরও আক্রমণ চালিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। ৮২ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ইলকাই গুন্ডোয়ান, ৯২ মিনিটে একইভাবে ব্যর্থ হন মাকিতি। শেষ মুহূর্তে সময়ক্ষেপণের জন্য হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাথিয়াস নুনেজ ও মাকিতি।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি, আর প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেঙে যায় বোর্নমাউথের। সেমিফাইনালে নটিংহ্যাম ফরেস্টের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি, আর অন্য সেমিফাইনালে লড়বে ক্রিস্টাল প্যালেস ও অ্যাস্টন ভিলা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল হল য ন ড ব যবধ ন গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
টাকার জন্য দেশে ছেড়েছি, এখন টাকা খরচের সময় নেই: পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।