বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বৃত্তি আছে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ আছে এ বৃত্তিতে। বৃত্তির কিতাবি নাম ‘জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ’। জাপান ও বিশ্বব্যাংক স্নাতকোত্তরে বৃত্তি নিয়ে বিশ্বের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মেলে এ বৃত্তি পেলে।

প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা দুটি সময়ে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পান। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-১–এ আবেদন শেষ হয়েছে। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-২–এ আবেদন শুরু হয়েছে ২৫ মার্চ থেকে। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের জুনের দিকে।

২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো—

জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আওতায় অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি, ব্রান্ডিজ ইউনির্ভাসিটি, কলম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি, স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ইরাসমাস ইউনির্ভাসিটি, হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটি, আইএইচই ডেলফ্ট ইন্সটিউট ফর ওয়াটার এডুকেশন, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, কিও ইউনিভার্সিটি, কেআইটি–রয়েল ট্রপিক্যাল ইন্সটিটিউট, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সেস, ন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্ট্যাডিজ, সাইতামা ইউনিভার্সিটি, এসওএএস–ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, স্ট্যানফোর্ড ইউনির্ভাসিটি, ইউনির্ভাসিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া–বার্কলে, ইউনির্ভাসিটি ক্লেরমন্ট, ইউনির্ভাসিটি ফেলিক্স, ইউনির্ভাসিটি অব লিডস, ইউনির্ভাসিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনির্ভাসিটি অব টুকুবা, ইউলিয়াম কলেজ—সেন্টার ফর ডেভেলবমেন্ট ইকোনোমিকস, ইয়েল ইউনির্ভাসিটি–স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, ইয়াকোহামা ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে (২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়) পড়ার সুযোগ মিলবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

এআই দিয়ে তৈরি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন র ভ স ট ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরিতে না ফেরালে রাজপথ ছাড়বেন না ইআরপিপি স্বাস্থ্যকর্মীরা

পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই। পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন কেউ, কেউ আবার চাকরির বয়সসীমা পার করে এখন আর নতুন কোথাও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই প্রকল্প শেষের অজুহাতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন তারা—যারা ২০২০ সালের করোনা মহামারির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এই অবস্থায় নিজেদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং অবিলম্বে বকেয়া বেতনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ারডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের প্রধান দাবি হলো স্থায়ীকরণের মাধ্যমে চাকরি বহাল রাখতে হবে এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে। সেইসঙ্গে গত চার মাসের বকেয়া ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে। তা না হলে অবস্থান কর্মসূচি চলবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বিক্ষোভরত কর্মীদের একজন বলেন, সরকারের ডাকেই তো আমরা এসেছিলাম। ভয়ঙ্কর সময় ছিল সেটা। তখন যদি পেছনে না ফিরে মানুষকে সেবা দিতে পারি, আজ যখন একটু স্থিতি এসেছে—তখন কেন আমরা উপেক্ষিত হবো? ৫ মাস ধরে একটা টাকাও পাইনি, পরিবার চালানো দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিপসমে কর্মরত ইআরপিপির মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবু সুফিয়ান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর এই প্রকল্পে কাজ করেছি। এখন বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। সরকারি চাকরির আবেদনের শেষ সীমা পেরিয়ে গেছি। এখন আমাদের বাদ দিয়ে নতুন অদক্ষ জনবল নেয়ার চেষ্টা চলছে। এটা শুধু অবিচার না, আমাদের মর্যাদায় আঘাত।

ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি সেন্টারের ডাটা অপারেটর আব্দুর রহমান বলেন, ঘরে ছোট বাচ্চা, স্কুলের বেতন দিতে পারিনি। স্ত্রী-সংসার নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছি। করোনার সময় এই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাকেই আমি কাজে গিয়েছিলাম, এখন সেই অধিদপ্তরের সিঁড়িতেই বসে থাকতে হচ্ছে দাবি আদায়ের জন্য।

ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় কর্মরত এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, করোনার সময় গড়ে তোলা আরটি-পিসিআর ল্যাব, ডেডিকেটেড আইসিইউ বা আইসোলেশন ইউনিটে তারাই প্রথম দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ আজ তাদের বাদ দিয়ে সেই পদে নতুন লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। 

তারা বলছেন, আমরা চাকরি ভিক্ষা চাই না। আমরা যেটুকু প্রাপ্য, সেটুকু চাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্প চলবে, তবে আমাদের চাকরি কেড়ে নেয়া হলো কেন? আমাদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না করে অন্যদের সুযোগ দেওয়া মানে অবিচারকে পুরস্কৃত করা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ