ঈদযাত্রার সাত দিনে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা। 

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১২ হাজার ৯৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১২ হাজার যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা।

২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।

২৬ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।

২৭ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২০ হাজার ২৪১টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৮৬টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।

২৮ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।

২৯ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

৩০ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩১ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১০ হাজার ৩৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়কপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ মহাসড়ক। এ সড়ক দিয়ে লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪টি জেলার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতি বছর অতিরিক্ত চাপে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, এবার ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছেন। এবার যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন।

যমুনা সেতু টোল প্লাজার ম্যানেজার প্রবীর কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, “ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়ায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছেন। এর ফলে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন। যাত্রীরা স্বস্তিতে যেতে পারলে আমরাও স্বস্তিতে থাকি। এবার আমাদের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। ঈদ-পরবর্তী সময়ের জন্যও আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছি না।”

ঢাকা/কাওছার/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জ র ৪৫০ ট ক সড়ক দ য় ঈদয ত র

এছাড়াও পড়ুন:

২২ বছর পর চাকা ঘুরছে রাজশাহী টেক্সটাইলের

দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার চাকা ঘুরতে যাচ্ছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের। এরই মধ্যে কারখানাটিতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। তাতে কর্মসংস্থান হয়েছে এক হাজার জনের। সরকারি মালিকানাধীন বস্ত্রকলটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারত্বে (পিপিপি) আবারও চালু করতে যাচ্ছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। আজ সোমবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারখানাটি পরীক্ষামূলক চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পিপিপিতে নেওয়ার পর রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের নাম বদলে রাখা হয়েছে বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে শিগগিরই কারখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। এটি পুরোদমে চালু হলে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আজ দুপুরে রাজশাহী নগরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ-আরএফএলের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল, গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক আনিসুর রহমান, গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শরীফ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, রাজশাহীতে অবস্থিত সরকারি এই টেক্সটাইল মিলটি ২২ বছর ধরে বন্ধ ছিল। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এটি পিপিপিতে চালুর উদ্যোগ নেয় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রায় ২৬ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাকে প্রাণ-আরএফএল উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কারখানাটিতে তৈরি হবে শতভাগ রপ্তানিমুখী পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, জুতা ও তৈরি পোশাক। দুই বছরের মধ্যে কারখানাটিতে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বছরের অক্টোবরে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিসেম্বরে কারখানার দায়িত্ব বুঝে নেয় গ্রুপটি। এরপর তিন মাসের মাথায় কারখানায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে কারখানাটি পুরোদমে চালু হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য ঢাকাকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে তারা উত্তরবঙ্গে এই বৃহৎ শিল্প প্রকল্প শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে রাজশাহীর হাজার হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি গতিশীল হবে।

আনিসুর রহমান বলেন, কারখানায় বর্তমানে সীমিত পরিসরে জুতা ও ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাতে রাজশাহীর প্রায় এক হাজার লোক কাজের সুযোগ পেয়েছেন। স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এখানে একটি ‘স্কিলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার’ স্থাপন করা হবে। কারখানায় উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হবে।

রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসে কারখানা চালু করার প্রক্রিয়ায় কয়েক শ গাছ ও পুকুর ভরাটের বিষয়ে রাজশাহীতে সমালোচনা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধনও করেছে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, গাছ কাটা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তাঁরা সঠিক উপায় অবলম্বন করেই এগুলো করেছেন। বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছেন। তার বিপরীতে তিন হাজার নতুন গাছ লাগানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২২ বছর পর চালু হচ্ছে রাজশাহী টেক্সটাইল মিল
  • ২২ বছর পর চাকা ঘুরছে রাজশাহী টেক্সটাইলের