যমুনা সেতুতে সাত দিনে টোল আদায় ১৭ কোটি টাকা
Published: 31st, March 2025 GMT
ঈদযাত্রার সাত দিনে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় করা হয়েছে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকা।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১২ হাজার ৯৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১২ হাজার যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৫ হাজার ৩৫৪টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৩ হাজার ৮৭৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৬ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৭ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২০ হাজার ২৪১টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৫০টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৪ হাজার ৯৮৬টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা।
২৮ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ৩০ হাজার ৩৯৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৭ হাজার ৯৩৭টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫০ টাকা।
২৯ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।
৩০ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ৩১ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০টাকা। এদিন ঢাকাগামী ১০ হাজার ৩৩৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়কপথ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক। রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে উত্তরবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম এ মহাসড়ক। এ সড়ক দিয়ে লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৪টি জেলার যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। প্রতি বছর অতিরিক্ত চাপে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে, এবার ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছেন। এবার যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন।
যমুনা সেতু টোল প্লাজার ম্যানেজার প্রবীর কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ঈদযাত্রায় যমুনা সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ঈদযাত্রায় এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী চার লেন খুলে দেওয়ায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চার লেনের সুবিধা পেয়েছেন। এর ফলে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্য পৌঁছাতে পেরেছেন। যাত্রীরা স্বস্তিতে যেতে পারলে আমরাও স্বস্তিতে থাকি। এবার আমাদের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। ঈদ-পরবর্তী সময়ের জন্যও আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছি না।”
ঢাকা/কাওছার/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ জ র ৪৫০ ট ক সড়ক দ য় ঈদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকামুখী যাত্রায় যমুনা সেতুর পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার যানজট
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার পথে আবারও ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। এ কারণে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
যমুনা সেতু সাইট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকামুখী লেনে চলেছে ৩০ হাজার ৮১৭টি এবং ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে ১৮ হাজার ৩৬৫টি যানবাহন। এ সময় টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন যমুনা সেতুর পশ্চিমের কড্ডার মোড় এলাকায় দেখা গেছে, ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজট চলছে। নলকা সেতু থেকে ঝাঐল উড়ালসড়ক হয়ে যমুনা সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে এই যানজট দেখা গেছে। এ কারণে প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে থেমে থেমে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সেতু পরিবহনের সুপারভাইজার আবদুল আল মামুন বলেন, ‘দিবাগত রাত ১টার দিকে পীরগাছা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। এখন সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে উড়ালসড়কে যানজটে আটকে আছি। কখন ঢাকায় পৌঁছাব, তা বলা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে বগুড়া থেকেই গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে যানজটের তীব্রতা বেড়ে নলকা সেতু পার হওয়ার পর তা প্রকট আকার ধারণ করে।
ঢাকার উদ্দেশে কড্ডার মোড় থেকে রওনা হওয়া পোশাকশ্রমিক আলী হাসান বলেন, ‘আজই ছুটির শেষ দিন। তাই পরিবার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। কিন্তু যানজটে সেতু পার হতে পারছি না। তার ওপর গরমে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।’
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের ছুটির শেষ দিনে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ বলেন, সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিলেও কোথাও কোথাও সাময়িক যানজট তৈরি হচ্ছে, যা আবার স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।