লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ছয় বছরের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাচারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় রাতেই ঢাকায় পাঠানো করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অস্ত্রধারীরা শিশুটির চাচা ওহিদ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তাঁর ভাতিজির গায়ে লাগে। গুলিবিদ্ধ শিশুটির নাম আবিদা সুলতানা। সে ওই বাড়ির মো.

ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে।

শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গুলিটি তাঁর পেটে বিদ্ধ হয়ে বের হয়ে গেছে। শরীরে গুলি প্রবেশ ও বের হওয়ার চিহ্ন আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে শিশু আবিদার পরিবারের পূর্ববিরোধ আছে। তাঁর চাচা ওহিদ ঢাকায় থাকেন। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি এলে ওই এলাকার ইউসুফ নামে আরেক ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দেন। এ নিয়ে ওই দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় ইউসুফের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা ওহিদকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পাশে থাকা শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাউছার হামিদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওহিদ ও ইউসুফের মধ্যে গোলাগুলিতে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। এই দুজনের নামেই থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব দ ধ হয়

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ