লক্ষ্মীপুরে চাচাকে লক্ষ্য করে গুলি, ভাতিজি গুলিবিদ্ধ
Published: 2nd, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ছয় বছরের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাচারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিশুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় রাতেই ঢাকায় পাঠানো করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অস্ত্রধারীরা শিশুটির চাচা ওহিদ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তাঁর ভাতিজির গায়ে লাগে। গুলিবিদ্ধ শিশুটির নাম আবিদা সুলতানা। সে ওই বাড়ির মো.
শিশুটির অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা অরূপ পাল। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গুলিটি তাঁর পেটে বিদ্ধ হয়ে বের হয়ে গেছে। শরীরে গুলি প্রবেশ ও বের হওয়ার চিহ্ন আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে শিশু আবিদার পরিবারের পূর্ববিরোধ আছে। তাঁর চাচা ওহিদ ঢাকায় থাকেন। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি এলে ওই এলাকার ইউসুফ নামে আরেক ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দেন। এ নিয়ে ওই দুজনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় ইউসুফের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা ওহিদকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পাশে থাকা শিশুটি গুলিবিদ্ধ হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাউছার হামিদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওহিদ ও ইউসুফের মধ্যে গোলাগুলিতে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। এই দুজনের নামেই থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ ধ হয়
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।