ঈদযাত্রায় ব্যথামুক্ত থাকতে যা করবেন
Published: 3rd, April 2025 GMT
যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতি ও ভ্রমণ পরিকল্পনা
যাত্রা শুরু করার আগে ভ্রমণের পরিকল্পনা করুন, যাতে মাঝেমধ্যে বিরতি নেওয়ার সুযোগ থাকে।
ভারী ব্যাগ বা লাগেজের পরিবর্তে হালকা ও ভারসাম্যপূর্ণ ওজন ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন, যাতে কোমরে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।
কোমর বা ঘাড়ের জন্য উপযুক্ত সাপোর্ট বেল্ট বা নেক পিলো নিয়ে যান।
lযাত্রার আগে হালকা স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম করে নিন, যা পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি করে এবং যাত্রার সময় ব্যথা কমায়।
যাত্রার সময় করণীয়
সঠিক বসার ভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। বাস, ট্রেন বা গাড়িতে সোজা হয়ে বসুন। কোমরের নিচে ছোট কুশন বা রোলড তোয়ালে ব্যবহার করে অতিরিক্ত সাপোর্ট নিশ্চিত করুন। চেয়ারে বসার সময় পিঠ ও ঘাড় সোজা রাখার চেষ্টা করুন।
সুযোগ পেলে মাঝেমধ্যে বিরতি দেওয়া ও হাঁটা ভালো। দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে প্রতি ঘণ্টায় ৫-১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা উচিত। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং পেশিতে জমে থাকা চাপ কমায়।
স্ট্রেচিং ও হালকা ব্যায়াম
ভ্রমণের সময় হাতে বা বসেই করা সহজ স্ট্রেচিং, যেমন ঘাড় ঘোরানো, কাঁধ ওঠানো-নামানো ও পিঠের হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামগুলো পেশিকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করবে এবং ব্যথার আশঙ্কা কমাবে।
পর্যাপ্ত পানি ও সুষম খাবার
হাইড্রেটেড থাকা অত্যন্ত জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং হালকা, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন, যাতে শরীরের শক্তি বজায় থাকে।
গন্তব্যে পৌঁছানোর পর
যাত্রা শেষে পেশির ক্লান্তি কমানোর জন্য হালকা ম্যাসাজ বা গরম সেঁক (হিট থেরাপি) নিতে পারেন।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম আপনার পেশি ও মেরুদণ্ড পুনরায় রিচার্জ করতে সহায়ক হবে।
পরবর্তী পর্যবেক্ষণ
যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। সঙ্গে ব্যথানাশক ওষুধ, মলম বা স্প্রে রাখুন।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনগাড়িতে চড়লেই বমি পায়? জেনে নিন সমাধান১৭ মার্চ ২০২৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।
গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।