বিএমও স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে তারকার হাট বসেছিল। বাস্কেটবল কিংবদন্তি স্টিভেন কারি, জিমি বাটলার, ড্রেমন্ড গ্রিন। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লায়নেল রিচি, অভিনেতা জেইমে কামিল, মডেল ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কেন্ডল জেনার ও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি। লিওনেল মেসি কি তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছেন?

আরও পড়ুনলিভারপুলকে কি তাহলে আর্সেনালই সবার আগে ‘গার্ড অব অনার’ দেবে৫০ মিনিট আগে

মেসির মুখ থেকে উত্তরটা সম্ভবত না বোধক আসবে। তাঁর দল ইন্টার মায়ামি যে হেরেছে। লস অ্যাঞ্জেলসে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে স্বাগতিক লস অ্যাঞ্জেলস এফসির কাছে ১-০ গোলে হেরেছে মায়ামি। চলতি বছর এটাই প্রথম হার হাভিয়ের মাচেরানোর দলের। আর্জেন্টাইন এ কোচের অধীনে ১০ ম্যাচে এটাই প্রথম হার মায়ামির। ৯ এপ্রিল ফোর্ট লডারডেলে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে মাচেরানোর দল। আজ হলুদ কার্ড দেখায় নিষেধাজ্ঞার কারণে ফিরতি লেগে সের্হিও বুসকেতসকে পাবে না মায়ামি।

চোট থেকে ফেরা মেসি এমএলএসে মায়ামির সর্বশেষ ম্যাচে বদলি হয়ে মাঠে নেমে গোল করে জিতিয়েছিলেন। আজ একাদশের হয়ে পুরো সময়ই মাঠে ছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। প্রথমার্ধে দুটি ফ্রি কিক পেয়েছিলেন। একটি মেরেছেন পোস্টের ওপর দিয়ে, আরেকটি রুখে দেন এলএএফসির গোলকিপার উগো লরিস।৫৭ মিনিটে এলএএফসির হয়ে গোল করেন ফরোয়ার্ড নাথান ওরদাজ।

আরও পড়ুনআবার বিতর্কে মরিনিও, এবার টিপে দিলেন প্রতিপক্ষ কোচের নাক২ ঘণ্টা আগে

দুই বছর আগে মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর চ্যাম্পিয়নস কাপে নিজের প্রথম ছয় ম্যাচে গোল অথবা গোলে সহায়তা ছিল মেসির। এ বছর শুরুর রাউন্ডগুলোয় করেছেন ৩ গোল। আজ ম্যাচের ৮০ মিনিটে গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন। বক্সের মাথা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নেওয়া শটও পোস্টের ওপর দিয়ে যায়।

ছয় মিনিট পর তাঁর আরও একটি শট রুখে দেন গোলকিপার লরিস। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফাউল থেকে আরও একটি ফ্রি কিক পায় মায়ামি এবং মেসি এ যাত্রায়ও পোস্টের ওপর দিয়ে শট নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ