টিকিট না পাওয়ার অভিযোগে যা বললেন মোশাররফ করিম
Published: 3rd, April 2025 GMT
এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে মোশাররফ করিমের সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’। সিনেমার প্রচারের জন্য খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। কারণ, পায়ে অস্ত্রোপচারের কারণে হুইল চেয়ারে বসে চলছেন তিনি।
বুধবার হুইল চেয়ারে বসেই রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। এ সময় সিনেমা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোশাররফ করিম।
প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির টিকিট সংকট রয়েছে বলে অভিনেতাকে অভিযোগ করেন দর্শকেরা। আর তারই জবাব দিলেন তিনি।
টিকিট না পাওয়া প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, ‘যদি এমন হয় যে একটি সিনেমার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই। আর এটা নিয়ে যদি আমি অল্প হলেও আনন্দ পাই তাহলে সেটা মানসিক অসুস্থতা। কারণ একটা সিনেমার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বলেই সেটা খারাপ হয়ে গেল এমন নয়। হতেই পারে সেই সিনেমা বহু বছর দর্শকের মনে বেঁচে থাকবে।’
মোশাররফ করিম বলেন, ‘আমাদের সিনেমা হয়তো দীর্ঘবছর বেঁচে থাকবে না কিন্তু দর্শক সিনেমাটা দেখছে এটাতে আমি সন্তুষ্ট।’
২০২১-২২ অর্থবছরে ‘চক্কর’ সিনেমার জন্য অনুদান পান নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন। প্রথমে সিনেমাটির নাম ছিল ‘বিচারালয়’। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিবর্তন করে নাম রাখা হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’।
মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, সুমন আনোয়ার, রওনাক হাসান, তারিন জাহান, মৌসুমী নাগ ও শাশ্বত দত্তসহ আরও অনেকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’