এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে মোশাররফ করিমের সিনেমা ‘চক্কর ৩০২’। সিনেমার প্রচারের জন্য খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। কারণ, পায়ে অস্ত্রোপচারের কারণে হুইল চেয়ারে বসে চলছেন তিনি।

বুধবার হুইল চেয়ারে বসেই রাজধানীর বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। এ সময় সিনেমা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মোশাররফ করিম।

প্রেক্ষাগৃহে এই ছবির টিকিট সংকট রয়েছে বলে অভিনেতাকে অভিযোগ করেন দর্শকেরা। আর তারই জবাব দিলেন তিনি।

টিকিট না পাওয়া প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, ‘যদি এমন হয় যে একটি সিনেমার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই। আর এটা নিয়ে যদি আমি অল্প হলেও আনন্দ পাই তাহলে সেটা মানসিক অসুস্থতা। কারণ একটা সিনেমার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বলেই সেটা খারাপ হয়ে গেল এমন নয়। হতেই পারে সেই সিনেমা বহু বছর দর্শকের মনে বেঁচে থাকবে।’

মোশাররফ করিম বলেন, ‘আমাদের সিনেমা হয়তো দীর্ঘবছর বেঁচে থাকবে না কিন্তু দর্শক সিনেমাটা দেখছে এটাতে আমি সন্তুষ্ট।’

২০২১-২২ অর্থবছরে ‘চক্কর’ সিনেমার জন্য অনুদান পান নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন। প্রথমে সিনেমাটির নাম ছিল ‘বিচারালয়’। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরিবর্তন করে নাম রাখা হয়েছে ‘চক্কর ৩০২’।

মোশাররফ করিম ছাড়াও এতে আরও অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, সুমন আনোয়ার, রওনাক হাসান, তারিন জাহান, মৌসুমী নাগ ও শাশ্বত দত্তসহ আরও অনেকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ