কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি লেপন করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও নামের বানানও বিকৃতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কালি লেপনের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রবীন্দ্র ভক্তরা। তবে কে বা কারা কখন এমন কাজ করেছে তা জানা যায়নি। ম্যুরালটি কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর প্রবেশপথ জিলাপীতলা এলাকায় অবস্থিত।

আজ শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণপাশে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল। ম্যুরালে কবির মুখমণ্ডল কালো রঙে ঢাকা। রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুর বানান দুটিও বিকৃতি করা। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ম্যুরাল চত্বরটিতে জন্মেছে লতাপাতা। চত্বরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা থাকলেও তা অকেজো। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। 

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কারা কখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি লেপন করেছে তা জানা যায়নি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও খুব দ্রুতই ম্যুরালটির সংস্কার করা হবে।’

প্রশাসনের নজরদারি নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুখে কালি লাগানো। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

জানতে চাইলে কবি ও সাহিত্যিক লিটন আব্বাস বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নয়, এ কালি পুরো বাঙালি জাতির মুখে লেগেছে। কে বা কারা কি উদ্দেশে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানাই।’

কুমারখালীর রবীন্দ্র গবেষক ও ভক্ত রেফুল করিম বলেন, ‘যে স্থানে বসে রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলী কাব্যগ্রন্থের সিংহভাগ রচনা করেছিলেন সেখানের মানুষের বিকৃত মস্তিষ্কের ছাপ পড়ল কিভাবে?’

কুমারখালী থানার ওসি মো.

সোলায়মান শেখ বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে দুর্বৃত্তরা হয়তো এ ঘটনা ঘটাতে পারে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রব ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ