পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মোহসিন নকভি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আগামী দুই বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন। নকভি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) প্রধান শাম্মি সিলভার স্থলাভিষিক্ত হলেন।

বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এসিসি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন থেকে পাকিস্তান এশিয়ার ক্রিকেটকে আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী করার নেতৃত্ব দেবে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে এশিয়ান ক্রিকেটের বিকাশ ও সংহতি আরও বাড়বে।’’

আরো পড়ুন:

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বিমানে বাংলাদেশ নারী দল

আবারো জরিমানা গুনলো পাকিস্তান

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোহসিন নকভি পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কার করেছে এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করে। ক্রিকেট ছাড়াও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পাঞ্জাব প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।  

নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর মোহসিন নকভি বলেন, ‘‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এশিয়া বিশ্ব ক্রিকেটের প্রাণকেন্দ্র এবং আমি সব সদস্য দেশের সঙ্গে কাজ করে এশিয়ান ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।’’

‘‘একসঙ্গে কাজ করে আমরা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করব, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াব এবং এশিয়ান ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব। এছাড়া, বিদায়ী সভাপতি শাম্মি সিলভাকে তার অসামান্য নেতৃত্ব ও অবদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ