এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নতুন সভাপতি মোহসিন নকভি
Published: 4th, April 2025 GMT
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মোহসিন নকভি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আগামী দুই বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন। নকভি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) প্রধান শাম্মি সিলভার স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বৃহস্পতিবার (০৩ এপ্রিল) বিকেলে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এসিসি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন থেকে পাকিস্তান এশিয়ার ক্রিকেটকে আরও প্রসারিত ও শক্তিশালী করার নেতৃত্ব দেবে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে এশিয়ান ক্রিকেটের বিকাশ ও সংহতি আরও বাড়বে।’’
আরো পড়ুন:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বিমানে বাংলাদেশ নারী দল
আবারো জরিমানা গুনলো পাকিস্তান
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে মোহসিন নকভি পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার নেতৃত্বে পাকিস্তান তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কার করেছে এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের জন্য হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করে। ক্রিকেট ছাড়াও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং পাঞ্জাব প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর মোহসিন নকভি বলেন, ‘‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। এশিয়া বিশ্ব ক্রিকেটের প্রাণকেন্দ্র এবং আমি সব সদস্য দেশের সঙ্গে কাজ করে এশিয়ান ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।’’
‘‘একসঙ্গে কাজ করে আমরা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করব, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াব এবং এশিয়ান ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব। এছাড়া, বিদায়ী সভাপতি শাম্মি সিলভাকে তার অসামান্য নেতৃত্ব ও অবদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’’
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।
তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি।
ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।
সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।
ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’