ফরাসি লিগ ওয়ানে আরেকটি মৌসুমে শিরোপা উৎসব করল প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি)। অ্যাঙ্গার্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ছয় ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করল লুইস এনরিকের দল।

পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ডেসিরে ডুয়ে। এই জয়ে টানা চতুর্থবারের মতো লিগ ওয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল পিএসজি। সবমিলিয়ে ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এটি ক্লাবটির ১৩তম শিরোপা। 

পুরো ম্যাচজুড়েই দাপট দেখায় প্যারিসের জায়ান্টরা। বল দখলে ছিল ৮২ শতাংশ সময়, গোলের জন্য নেয় ২০টি শট। বিপরীতে অ্যাঙ্গার্স গোলের লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছে মাত্র ৫টি।

এই জয়ে ২৮ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৭৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর চেয়ে তারা এগিয়ে ২৪ পয়েন্টে। ফলে মৌসুম শেষ হতে ছয় ম্যাচ বাকি থাকতেই অন্য দলগুলোর ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে তারা।

শেষ ১৩ মৌসুমে এটি পিএসজির ১১তম লিগ শিরোপা। আধিপত্যের এই ধারা ধরে রেখে তারা আরও একবার প্রমাণ করল ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে আপাতত তাদের সমকক্ষ কেউ নেই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প এসজ প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব