পিএসএলের ধারাভাষ্যে বাংলাদেশের আতহার আলী
Published: 6th, April 2025 GMT
এবারই প্রথম পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ধারাভাষ্য প্যানেলে জায়গা পেলেন বাংলাদেশি কেউ। দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক নানা টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্যে অভ্যস্ত আতহার আলী খান এবার মাইক্রোফোন হাতে শোনা যাবে পিএসএলের দশম আসরে।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পিএসএলের ধারাভাষ্য প্যানেলের তালিকা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেই তালিকায় প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী। তার সঙ্গে প্যানেলটি পরিণত হয়েছে এক তারকায় ভরপুর জমজমাট মঞ্চে।
ধারাভাষ্য প্যানেলে আরও রয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক স্যার অ্যালিস্টার কুক, মার্ক নিকোলাস, ডমিনিক কর্ক ও মার্ক বুচার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলেছেন জেপি ডুমিনি ও অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকার মাইক হেইসম্যান। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল এবং অস্ট্রেলিয়ার দুইবারের নারী বিশ্বকাপজয়ী লিসা স্তালেকারও আছেন তালিকায়।
এবারই প্রথমবারের মতো পিএসএলে পুরোপুরি উর্দু ধারাভাষ্য সম্প্রচার করা হবে। সেই বিশেষ প্যানেলে থাকছেন আলি ইউনুস, আকিল সামার, মারিনা ইকবাল, সালমান বাট এবং তারিক সাঈদ। মূল ধারাভাষ্যকাররাও কিছু ম্যাচে উর্দুতে অংশ নেবেন। উপস্থাপনায় থাকবেন এরিন হল্যান্ড ও জয়নাব আব্বাস।
পিএসএলের দশম আসরে মোট ৩৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে করাচি, লাহোর, মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডিতে। এবারের টুর্নামেন্ট শুরু হবে ১১ এপ্রিল রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।
বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।
সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।
আরো পড়ুন:
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার
কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।
এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।
এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।
ঢাকা/আমিনুল