প্রায় পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। নভেম্বরে সাদাপোশাকের এই সিরিজে ১-১ সমতা নিয়ে দেশে ফেরে লাল সবুজের দল।

এবার বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ে। সিলেট ও চট্টগ্রামে হবে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ। ২০ এপ্রিল সিলেটে ও ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে সাদাপোশাকে লড়বে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।

এই সিরিজে বাংলাদেশ পাবে না অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে। এ ছাড়া পেসার নাহিদ রানা থাকছেন না দ্বিতীয় টেস্টে। ঢাকা লিগ চলায় নিয়মিতদের খেলানো হতে পারে ঘুরিয়ে ফিরেইয়ে। সবমিলিয়ে এই সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ তরুণদের জন্য সুযোগ  দেখছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আরো পড়ুন:

লাহোরকে চ্যাম্পিয়ন করানোর চ্যালেঞ্জ রিশাদের

সুপার লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াই

রোববার (৬ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদ মাধ্যমে এমন আভাস দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবসময়ই টাফ হয়। বড় দল, ছোট দল না। পারফর্ম করলে সেটা কাউন্ট হবে। আর ইয়াং ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আমরা যে টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম সেখানে অনেক নিয়মিত ক্রিকেটার ছিলেন না। তরুণ ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছে। আবার এই সিরিজেও দেখা যেতে পারে অনেক ইয়াংদের সুযোগ হতে পারে।” 

সুযোগ পেলে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফর্ম করেই দলে থাকতে হবে, এমন বার্তাও দিয়ে রেখেছেন মিরাজ, “তবে গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে, তরুণদের পারফর্ম করতে হবে। আপনি দেখেন অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ইতিমধ্যে অবসরে চলে গেছেন, আস্তে আস্তে দায়িত্বটা আমাদের নিতে হবে। তাই আমাদের পারফর্ম করা জরুরি, কারণ বাংলাদেশকে এখন যে ধাপে আছে, সেখান থেকে পরবর্তী আরেক ধাপে নিয়ে যেতে হবে।” 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের বাংলাদেশ টানা সাদা বলের ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছে। বিপিএল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর চলছে ডিপিএল। মিরাজ মনে করেন ১০ দিনের প্রস্তুতি টেস্ট সিরজের জন্য যথেষ্ট, “কারণ ৬ মাস পর খেলতে নামছি টেস্টে। লম্বা বিরতির পর। হয়তো সামনে আমরা ১০ দিনের একটা সময় পাবো, সেই সময়টাতে আমরা লাল বলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নেব।”

উইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিরাজ। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে গিয়ে সিরিজে ড্র করার আত্মবিশ্বাস নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।

“ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আমি ভিন্ন একটা সিচুয়েশনে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। শান্ত তখন ইনজুরিতে ছিল। আর এখন যেহেতু সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, চ্যালেঞ্জ প্রত্যেকটা ম্যাচেই থাকবে। আমরা যেহেতু উইন্ডিজে ভালো একটা ম্যাচ দিয়ে শেষ করেছিলাম, কিছু ক্রিকেটার ঐ ম্যাচে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে, ডমিনেট করেছে। যারা খেলেছিল, তাদের সেই সিরিজে ঐ আত্মবিশ্বাসটা মনে হয় কাজে আসবে”- বলছিলেন মিরাজ।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড জ স এই স র জ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ