জিম্বাবুয়ে সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তরুণদের সামনে সুযোগ
Published: 6th, April 2025 GMT
প্রায় পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। নভেম্বরে সাদাপোশাকের এই সিরিজে ১-১ সমতা নিয়ে দেশে ফেরে লাল সবুজের দল।
এবার বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ে। সিলেট ও চট্টগ্রামে হবে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ। ২০ এপ্রিল সিলেটে ও ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে সাদাপোশাকে লড়বে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।
এই সিরিজে বাংলাদেশ পাবে না অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাসকে। এ ছাড়া পেসার নাহিদ রানা থাকছেন না দ্বিতীয় টেস্টে। ঢাকা লিগ চলায় নিয়মিতদের খেলানো হতে পারে ঘুরিয়ে ফিরেইয়ে। সবমিলিয়ে এই সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ তরুণদের জন্য সুযোগ দেখছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আরো পড়ুন:
লাহোরকে চ্যাম্পিয়ন করানোর চ্যালেঞ্জ রিশাদের
সুপার লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াই
রোববার (৬ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলায় সংবাদ মাধ্যমে এমন আভাস দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবসময়ই টাফ হয়। বড় দল, ছোট দল না। পারফর্ম করলে সেটা কাউন্ট হবে। আর ইয়াং ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ থাকবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আমরা যে টেস্ট ম্যাচ জিতেছিলাম সেখানে অনেক নিয়মিত ক্রিকেটার ছিলেন না। তরুণ ক্রিকেটাররা সুযোগ পেয়েছে। আবার এই সিরিজেও দেখা যেতে পারে অনেক ইয়াংদের সুযোগ হতে পারে।”
সুযোগ পেলে তরুণ ক্রিকেটারদের পারফর্ম করেই দলে থাকতে হবে, এমন বার্তাও দিয়ে রেখেছেন মিরাজ, “তবে গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে, তরুণদের পারফর্ম করতে হবে। আপনি দেখেন অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার ইতিমধ্যে অবসরে চলে গেছেন, আস্তে আস্তে দায়িত্বটা আমাদের নিতে হবে। তাই আমাদের পারফর্ম করা জরুরি, কারণ বাংলাদেশকে এখন যে ধাপে আছে, সেখান থেকে পরবর্তী আরেক ধাপে নিয়ে যেতে হবে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের বাংলাদেশ টানা সাদা বলের ক্রিকেটে খেলে যাচ্ছে। বিপিএল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর চলছে ডিপিএল। মিরাজ মনে করেন ১০ দিনের প্রস্তুতি টেস্ট সিরজের জন্য যথেষ্ট, “কারণ ৬ মাস পর খেলতে নামছি টেস্টে। লম্বা বিরতির পর। হয়তো সামনে আমরা ১০ দিনের একটা সময় পাবো, সেই সময়টাতে আমরা লাল বলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে নেব।”
উইন্ডিজ সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিরাজ। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে গিয়ে সিরিজে ড্র করার আত্মবিশ্বাস নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ।
“ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আমি ভিন্ন একটা সিচুয়েশনে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। শান্ত তখন ইনজুরিতে ছিল। আর এখন যেহেতু সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, চ্যালেঞ্জ প্রত্যেকটা ম্যাচেই থাকবে। আমরা যেহেতু উইন্ডিজে ভালো একটা ম্যাচ দিয়ে শেষ করেছিলাম, কিছু ক্রিকেটার ঐ ম্যাচে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে, ডমিনেট করেছে। যারা খেলেছিল, তাদের সেই সিরিজে ঐ আত্মবিশ্বাসটা মনে হয় কাজে আসবে”- বলছিলেন মিরাজ।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড জ স এই স র জ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?