অ্যালেন স্বপন ফিরলেন, রোমাঞ্চ ফিরল কি
Published: 7th, April 2025 GMT
আপাদমস্তক শয়তানি কিন্তু মেজাজে রসিক—এমন একটা চরিত্র অ্যালেন স্বপন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা চরিত্রটিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন নাসির উদ্দিন খান। তাঁর উপস্থিতি এতটাই প্রবল যে একাই পুরো সিরিজকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন তিনি, সে গল্প যা–ই হোক। এই ধরনের জনপ্রিয়তার নেতিবাচক দিক হলো, প্রধান চরিত্রের পারফরম্যান্সের ওপর অতিনির্ভরতা অনেক সময় চিত্রনাট্য থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয়। চাঁদরাতে চরকিতে মুক্তি পাওয়া ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ কি সে চক্করেই পড়ল?
একনজরেসিরিজ: ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’
ধরন: ক্রাইম ড্রামা
পরিচালনা: শিহাব শাহীন
অভিনয়ে: নাসিরউদ্দিন খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, জেফার রহমান, ইন্তেখাব দিনার, সুমন আনোয়ার, আইমন শিমলা, ফরহাদ লিমন, অর্ণব ত্রিপুরা
স্ট্রিমিং: চরক
মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন-এর প্রথম কিস্তি ছিল দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত একটা কাজ। চিত্রনাট্যের আঁটসাঁট গাঁথুনি আর নাসিরউদ্দিন খানের অভিনয়ের গুণে অল্প বাজেটেও ধারালো হয়ে উঠেছিল সিরিজটি। এবার নাসিরউদ্দিন আছেন, পর্দায় তাঁর খ্যাপাটে পারফরম্যান্সও আছে, তবে চিত্রনাট্যের গাঁথুনি কোথাও যেন ঢিলে হয়ে গেছে।
‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’ মোটের ওপর উপভোগ্য হয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রথম কিস্তির মান ছুঁতে পারেনি। প্রথম মৌসুমে ক্রাইম ড্রামার আড়ালে চিত্রনাট্যে নারী-পুরুষের সম্পর্ক, কামনা-বাসনা নিয়ে সূক্ষ্ম একটা দিক ছিল, এবার সেটা নেই। নির্মাতারা বেছে নিয়েছেন সহজ একটা গল্প, সেখানে অ্যালেন স্বপন হিসেবে নাসিরউদ্দিন যদি না থাকতেন, তাহলে কতটা জমত বলা মুশকিল।
‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’–এ নাসির উদ্দিন খান। চরকি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন স রউদ দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন