চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) পরিদর্শন করেছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৫৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। 

সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কোরিয়ান ইপিজেডে আসে এ প্রতিনিধিদল। ঢাকায় শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা কোরিয়ান ইপিজেডে আসেন। 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশ প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বিদেশিদের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা, কর্মপরিবেশসহ নানা বিষয় প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানা ঘুরে উৎপাদন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করছেন। তারা ইপিজেডের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিয়ম করছেন। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে প্রতিনিধিদলটি মিরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন। 

১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান ইপিজেডের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দুই দেশের সরকার উদ্যোগ নিলেও কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ইয়াংওয়ান গ্রুপ শিল্পাঞ্চলটি গড়ে তোলে বেসরকারিভাবে। এ ইপিজেডের ৫২ শতাংশ জমি বনায়নের জন্য সংরক্ষিত আছে। এ ইপিজেড বাংলাদেশের বৃহৎ পরিবেশবান্ধব রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যুৎ ব্যবহার

বর্তমানে বাংলাদেশে লোডশেডিং একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে এর প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হয়। দেশের অনেক এলাকায় দৈনিক কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ চলে যায়, যার ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও কাজকর্ম ব্যাহত হয়।

যদিও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি একটি বড় কারণ, কিন্তু অনেকাংশেই দায়ী আমাদের নিজেদের অসচেতন ব্যবহার। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়াই ফ্যান বা বাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এক রুম থেকে অন্য রুমে গেলেও আগের রুমের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করেন না।

দিনের আলো পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। বাড়ি ছেড়ে বাইরে গেলেও অনেকেই বাতি, ফ্যান, এমনকি টিভি পর্যন্ত বন্ধ করতে ভুলে যান। এসব ছোট ছোট অভ্যাস মিলেই তৈরি করে বড় একটি সমস্যার—যার নাম বিদ্যুৎ অপচয়। একটি ফ্যান বা একটি বাতি অপচয়ের মাধ্যমে যদি দেশের লাখো মানুষ একসঙ্গে একই আচরণ করেন, তবে তার প্রভাব পড়বে জাতীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হতে হয়।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী হতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ একটি মূল্যবান সম্পদ—এটি শুধু আমাদের একার নয়, সমগ্র জাতির সম্পদ।

তানভীর আহমদ রাহী

চট্টগ্রাম কলেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ