ঢাকাসহ চার শহরে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ এক দিন পেছানো হয়েছে
Published: 7th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এক দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’ রাজধানী ঢাকাসহ চারটি শহরে একযোগে অনুষ্ঠেয় কনসার্টের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পূর্বনির্ধারিত কনসার্টটি এক দিন পিছিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে শহীদ এবং যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে আজ বিশ্বব্যাপী ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশের আপামর জনগণকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ফাউন্ডেশনটি।
আরও পড়ুনসবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতেই ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’–এর আয়োজন: সুলতান সালাউদ্দিন০৪ এপ্রিল ২০২৫উল্লেখ৵, মহান স্বাধীনতা দিবস সর্বজনীনভাবে উদ্যাপনের জন্য বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ আয়োজন করে সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। ১১ এপ্রিল রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পাশাপাশি বগুড়া, চট্টগ্রাম ও খুলনায় পৃথক ভেন্যুতে এ কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুনঢাকাসহ চার শহরে ১১ এপ্রিল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ হবে২৭ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব ধ নত ইসর য় ল কনস র ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’