শ্যামনগরে জামায়াত নেতাকর্মীদের হাতে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত
Published: 9th, April 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সংবাদ সংগ্রহের সময় তপন কুমার বিশ্বাস ও সাহেব আলী নামে দুই সাংবাদিককে জামায়াত নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুর একটার দিকে উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি নীলডুমুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। সুন্দরবন থেকে মধু সংগ্রহ নিয়ে বন বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে তারা এমন ঘটনার শিকার হন। তপন কুমার এশিয়ান টিভির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি। সাহেব আলী দৈনিক প্রবর্তন পত্রিকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
তপন কুমার জানান, সম্প্রচার হওয়া একটি সংবাদ নিয়ে বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির নজরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ ছিলেন। সোমবার বন বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নীলডুমুর রেঞ্জ কার্যালয়ে গেলে নজরুল ইসলামসহ ১০ থেকে ১২ জন তাদের লাঞ্চিত করেন। এ সময় বুড়িগোয়ালীনির ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত নেতা আব্দুল জলিল মেম্বর, দিদারুল ও হাফেজ শহিদুল ইসলাম ধাক্কা দিয়ে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ তাদের মারধর করতে উদ্যত হন। অন্য সংবাদকর্মীরা এগিয়ে গেলে তাদের সঙ্গেও দিদারুল, জলিলরা দুর্ব্যবহার করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে নজরুল ইসলাম জানান, মানহানিকর একটি নিউজ নিয়ে সমস্যা হলেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতারা দেখছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি দাবি করে তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আগের একটি বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি নিবৃত্ত করায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল জানান, উপজেলা জামায়াতের আমির ঘটনাটি তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করে থাকলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য মনগর ল ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।
বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।
যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।